খেলাধুলার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সারাবিশ্বের অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন
চুয়াডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার
স্টাফ রিপোটার: চুয়াডাঙ্গায় জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চুয়াডাঙ্গার জাফরপুর নতুন স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের বালক-বালিকাদের ফাইনাল খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন রানারআপ দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন। আর তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উন্নয়নের মহাসড়কে দাঁড় করিয়েছেন। খেলাধুলার উন্নয়নেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাবিশ্বের অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে খেলাধুলায় যতো অর্জন তার অধিকাংশই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্জিত হয়েছে। খেলাধুলার উন্নয়নে বিশেষ করে ফুটবলের জন্য বাংলাদেশের হাজার হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয় প্রতিবছর। যা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এতো দীর্ঘ পরিসরে এমন আয়োজন হয় কি-না তা আমার জানা নেই। আমার ও জেলাবাসীর ঘাম এবং শ্রমের বিনিময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় আমাদেরকে একটি আধুনিক মানের স্টেডিয়াম উপহার দিয়েছেন। সেই স্টেডিয়ামে আজ (গতকাল) বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হলো। তাই এই টুর্নামোন্টের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও আমাদের ভালো খেলোয়াড় উপহার দিতে হবে। আজ যারা তোমরা জেলা পর্যায়ের খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছো; তোমাদেরকে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে আরো ভালো করে চুয়াডাঙ্গার মুখউজ্জ্বল করতে হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা শুরুর আগ পর্যন্ত তোমাদেরকে নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। খেলাধুলা স্টেজে মারার মতো কোনো কাজ নয়। তাই ভালো খেলাধুলা করতে হলে নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই। ‘পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার ডিএফএ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম লাড্ডু, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজল ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ। ফাইনালে আলমডাঙ্গা উপজেলা বালক দল ২-১ গোল দামুড়হুদা উপজেলা দলকে এবং বালিকা বিভাগেও আলমডাঙ্গা ১-০ গোলে দামুড়হুদা উপজেলা দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের হাতে ট্রফি ও মেডেল তুলে দেন। বালিকা বিভাগে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছে দামুড়হুদার সুবলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুর্বণা গোল্ডেন বল পুরস্কার লাভ করেন। সর্বোচ্চ ৪টি গোল করে আলমডাঙ্গার উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জান্নাতুল ফেরদৌস গোল্ডেন বুট পুরস্কার পায়। বালক বিভাগে দামুড়হুদা লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রেজুয়ান ৪টি গোল করে গোল্ডেন বুট পুরস্কার লাভ করে এবং আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাইম সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে গোল্ডেন বল পুরস্কার লাভ করে। খেলার ধারা বিবরণী প্রচার করেন ইসলাম রকিব, শাহনেওয়াজ ফারুক ও গোলাম মোস্তফা। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম।
এদিকে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টূর্ণামেন্টের জেলা পর্যায়ের খেলা-ধুলা পরিচালনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের অদুরদর্শিতা প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার কে দাওয়াত কার্ড না দেওয়া,বিগ বাজেটের প্রতিযোগিতায় রেফারীদের নামমাত্র সম্মানী দেয়া, ফুটবল ব্যক্তিত্ব বা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল বিষয়ে অভিজ্ঞ কাউকে ম্যাচ কমিশনারের দায়িক্ত না দিয়ে নিজের পছন্দমত জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ম্যাচ কমিশনার হিসেবে রেজুলেশন ভুক্ত করা এবং খেলা-ধুলা তথা সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচার-প্রচারণার দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিকদের উপেক্ষীত করাসহ নানা অনিয়ম। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন।