মাথাভাঙ্গা মনিটর: টুইটারে ঝড় তুলেছিলেন। ভারতীয় টেনিস তারকা টুইটের প্রশংসা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্কের, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের ওয়ান ডে খেলেননি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপ ফাইনালে তার স্ত্রী এলিসা হিলির খেলা দেখবেন বলে। তারপরই সানিয়া টুইটে লিখেছিলেন, ‘মিচেল কখনো উপমহাদেশের লোক হতে চাইবেন না। এখানে ‘জোরু কা গোলাম’ বলা হবে। তবে, সত্যিকারের দম্পতিদের এমনই হওয়া উচিত।’ সানিয়া মির্জার ক্ষোভটা স্পষ্ট। এই টেনিস তারকা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের স্ত্রী। ফলে, একই পরিস্থিতিতে তাকেও পড়তে হয়। তবে, এই মানসিকতার পরিবর্তন চান তিনি। জোরু কা গোলাম’ বা ‘স্ত্রীর আঁচলে বাঁধা’ এর বিতর্কের পর ইউটিউবে ‘ডাবল-ট্রাবল’ নামের একটি অনুষ্ঠানে এসে সানিয়া নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘মজার ব্যাপার এই যে আমি ও আনুশকা (শর্মা) সম্ভবত এটার সঙ্গে নিজেদের সবচেয়ে বেশি মেলাতে পারি। কারণ, আমি মনে করি যে, যখনই আমাদের স্বামীরা পারফরম করে, তখন এটার কৃতিত্ব তাদের। আর খারাপ করলে সেই দায় নিতে হয় আমাদের। এই ভাবনা মানুষের মধ্যে কীভাবে আসে আমার জানা নেই। সানিয়া মনে করেন যে এটা একটা ‘গভীর সাংস্কৃতিক ইস্যু’ যা সমাজের সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে। এর থেকে মনে হয় নারীরা কেবল ‘বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে, শক্তি নয়’। সানিয়া বলেন, ‘আমরা এটাকে রসিকতা হিসেবে দেখছি, কিন্তু আমি মনে করি এর সমস্যা অনেক গভীরে। সমস্যাটি হলো একজন নারীকে সব সময়ই সমস্যা হিসেবে দেখা হয়, সে শক্তি হতে পারে না। আমাদের সংস্কৃতিটাই এই রকম।’ তার স্বামী শোয়েব মালিক তার টেনিস ম্যাচ দেখতে এসে স্ট্যান্ড থেকে সমর্থন করার জন্য লোকেরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলো সেটাও জানালেন সানিয়া। বললেন, ‘এখানে রীতিমতো নরক ভেঙে যেত। কিন্তু যখন স্টার্ক তার খেলা ছেড়ে স্ত্রীর বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখতে গিয়েছিলো, তখন প্রত্যেকেই ওর প্রশংসা করেছিলো। আমি এটা কল্পনা করেছি, শোয়েব আমার জন্যও যদি এটা করার চেষ্টা করতো, তাহলে লোকে ওকে জোরু কা গোলামই বলতো।’