স্টাফ রিপোর্টার: ৩০ হাজার টাকা নিয়ে সুদে মূলে এখন ৮ লাখ টাকা দাবি করেছেন সুদ কারবারী চম্পা খাতুন। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মতানক্য। এক পর্যায়ে মারধর করাই স্ত্রীকে মর্জিনা খাতুন ঘরে থাকা ঘাস মারা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছেন। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কীটনাশক পান করে তিনি। মর্জিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা হাসপাতাল ও সেখান থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনাটি গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের ওলিনগরপাড়া এলাকার আলগামন চালক বকুল হোসেনের স্ত্রী।
মর্জিনার স্বামী বকুল হোসেন জানান, পাশের বাড়ির সুলতান হোসেনের মেয়ে চম্পা খাতুনের কাছ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ৩০ হাজার টাকা সুদের ওপর নেন আমার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন। এর মধ্যে পুরা টাকা পরিশোধ করেও দিয়েছি। তারপরেও চম্পা খাতুন আমার স্ত্রীর কাছে ৮ লাখ টাকা দাবি করে সব সময় নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। এ নিয়ে আমাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অভিমানে সে ঘরে থাকা ঘাস মারা কীটনাশক পান করেন। মূমূর্ষ অবস্থায় তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক হামিদুল ইসলাম জানান, তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ