তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ মাকে মারপিট করে হাত ভেঙে দিয়েছে সৎ ছেলে
স্টাফ রিপোর্টার: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা সাহেরা খাতুনকে বেধড়ক পিটিয়ে ভাঙলেন হাত সৎ ছেলে রাজ্জাক। আহত সাহেরা খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এঘটনা ঘটে। আহত সাহেরা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের কাথুলি গ্রামের ক্যানাল পাড়ার আজিবরের স্ত্রী।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, আজিবরের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর সাবেহা খাতুনকে বিবাহ করেন৷ দ্বিতীয় পক্ষের কোন সন্তানাদি নেই। প্রথম পক্ষের তিন ছেলে ও ও এক মেয়ের মধ্যে রাজ্জাক বড়। রাজ্জাকের স্ত্রী সায়রা খাতুনের সাথে সাবেহা খাতুনের কোন এক বিষয়ে তর্কবিতর্ক হয়। বিষয়টি সায়রা তার স্বামী রাজ্জাককে জানালে তিনি সৎ মা সাবেহা খাতুনকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। এতে তার ডান হাত ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা সাহেরাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা।
আহত সাহেরা খাতুন মাথাভাঙ্গাকে বলেন, দুপুরে আমার মামাতো বোন মিনিকে (বাক প্রতিবন্ধী) উঠানে থাকা ভুট্টা তুলতে বলে আমি মাঠে যায়। এসময় রাজ্জাকের স্ত্রী সায়রা খাতুন খুটিনাটি বিষয়ে মিনিকে বকাঝকা করে মারধর করতে যায়। বিকেলে আমি বাড়ি ফিরলে মিনি বিষয়টি আমাকে জানায়। এ নিয়ে পুত্রবধূ সায়রা খাতুনের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। বিষয়টি সায়রা খাতুন তার স্বামী রাজ্জাককে জানায়। রাজ্জাক বাড়ি ফিরে আমাকে মারধর করে। এতে আমার হাত ভেঙে যায়। কাথুলি গ্রামের ইউপি সদস্য জিনারুল বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে রাজ্জাক তার স্ত্রীর কথা শুনে সৎ মাকে মারধর করে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। বিষয়টি অত্যান্ত দুংখজনক ও নিন্দনীয়। সাহেরা খাতুন খুবই ভালো মানুষ। তিনি আরও বলেন, রাতেই সাহেরা খাতুনের পরিবারের সদস্যরা এসে বিষয়টি মিমাংসা করেছে।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু জিহাদ খান বলেন, ঘটনাটি শোনার পরই কাথুলি গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রাজ্জাক তার সৎ মাকে মারধর করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো বলে জানান তিনি।