আটশহীদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন : যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালিত
শহীদদের আত্মত্যাগকে আমরা ভুলতে পারি না
মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ ডিসেম্বর দিনব্যাপী নানা আয়োজনে পালিত হলো চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত হয়। চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার শহরের শহীদ হাসান চত্বরের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিট, জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর আগে দামুড়হুদার নাটুদহে আটশহীদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
কার্পাসডাঙ্গা/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার নাটুদাহে গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে আটকবরের আটশহীদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্রলীগ। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে শহীদদের মাগফেরাতে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক রিপন ম-ল, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আবু সাইদ মো. হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও সহসভাপতি শাহাবুল হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, মো. মকসেদুল প্রমুখ।
এদিকে, গতকাল সোমবার সকালে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেনসহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মনিরা পারভীন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আমজাদ হোসেন, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবীরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সকাল ৯টায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা যুবলীগ। এ সময় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, সদস্য হাফিজুর রহমান হাপু, আজাদ আলী, সাজিদুর ইসলাম লাবলু, আলমগীর আজম খোকা, বিপ্লব হোসেন, জুয়েল জোয়ার্দ্দার, রামিম হাসান সৈকত, সোহেল সজীব প্রমুখ।
অপরদিকে, গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করেছে জেলা আওয়ামী যুবলীগ। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে তারা। পরে, শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, অনেক ত্যাগ, তিতীক্ষা ও কষ্টের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। একে একে পুরো দেশকে পাকহানাদার বাহিনী মুক্ত করতে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে বাঙালি জাতি। এদেশ স্বাধীন করতে বীরঙ্গণাদের ত্যাগও কম নয়। বঙ্গবন্ধু সঠিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। চুয়াডাঙ্গাকে হানাদার বাহিনী মুক্ত করতেও অনেকে শহীদ হয়েছেন। তাদের সেই আত্মত্যাগকে আমরা ভুলতে পারি না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যুগ্মআহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সদস্য হাফিজুর রহমান হাপু, আজাদ আলী, সাজিদুর ইসলাম লাবলু, আলমগীর আজম খোকা। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা দরূদ হাসান, শেখ শাহী, মাসুদুর রহমান মাসুম, আলী ইমরান শুভ, বিপ্লব হোসেন, জুয়েল জোয়ার্দ্দার, রামিম হাসান সৈকত, সোহেল সজিব, লোকমান, আলিম, বক্কর, হিরা, মুন্না, কবির, নোমান, বাচ্চু প্রমুখ।