২৭ ইউপি চেয়ারম্যানসহ সকল মেম্বারকে ১০ হাজার করে টাকা দেয়ার দাবি
ফেসবুকে পরাজিত প্রার্থী সামসাদ রানুর পোস্ট
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত এক প্রার্থীর ফেসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন তার নির্বাচনী এলাকার ২৭ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন ভোট কেনার জন্য। কিন্তু তিনি কাক্সিক্ষত ভোট না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় এক পৌর মেয়রসহ বেশকিছু ইউপি চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে আরেকটি পোস্ট দেন। তাতে তিনি ভোট বাবদ তাদেরকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সামসাদ রানু ওরফে রাঙা ভাবি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি সংরক্ষিত ১নং মহিলা আসনে (আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর) সদস্য প্রার্থী হন। গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজিত হন রাঙা ভাবি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সামসাদ রানু তার ফেসবুক আইডিতে নির্বাচনে ভোট বাবদ টাকা খরচ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। সেখানে ২৭ ইউনিয়ন পরিষদের সকল চেয়ারম্যানসহ সকল মেম্বারকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। পরবর্তীতে একই দিন সন্ধ্যায় তিনি আরেকটি পোস্ট দেন তার ফেসবুক আইডিতে। সেখানে তিনি দুই পৌর মেয়র, এক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ২০ ইউপি চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে টাকা প্রদানের কথা লিখেছেন। এ ব্যাপারে পরাজিত প্রার্থী সামসাদ রানুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ভোটের আওতার সকল চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। তারা বেইমান। আমরার টাকা নিলো কিন্তু ভোট দিলো না। তারা যদি আমার টাকা ফেরত না দেয় আমি সংবাদ সম্মেলন করে সবার মুখোশ খুলে দেবো।’ এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু বলেন, ‘অভিযোগকারীর কথা পুরো মিথ্যা। আমরা ভোট দিয়েছি কিন্তু কারো টাকা নিইনি। আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউপি চেয়ারম্যান তবারক হোসেন বলেন, ‘সামসাদ রানু ফেল করে আবোল তাবোল কথা বলছেন। তার কোনো টাকা আমরা নিইনি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘ভোটের মাঠে এভাবে টাকা দেয়া অপরাধ। তিনি যদি সত্যিই টাকা দিয়ে থাকেন তাহলে অপরাধ করেছেন। এ ব্যাপারে সামসাদ রানু আমাদেরকে কিছু জানাননি। তবে তিনি যদি লিখিতভাবে বিষয়টি আমাকে জানান, তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’