হাসপাতালে আসা মানুষ যেনো ভালো সেবা ও ভালো আচরণ পায়
মেহেরপুর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মেহেরপুর অফিস: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেছেন, একজন মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে নিরুপায় হয়ে। ফলে হাসপাতালে আসা মানুষ যেনো ভালো সেবা ও ভালো আচরণ পায়। তারা যেনো বাইরে গিয়ে বলতে পারে আমরা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভালো সেবা পেয়েছি। আপনাদের মনে রাখতে হবে হাসপাতালে মানুষ সহজে আসতে চায় না। মানুষ দু’টি জায়গা দেখে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। একটি কবরস্থান ও অপরটি হাসপাতাল। ফলে যখন মানুষ শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে; তখন অনেকটা নিরুপায় হয়ে আপনাদের নিকট আসে। তখন আপনারা ভালো আচরণ দিয়ে, ভালো সেবা দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন সৃষ্টিকর্তা আপনাদের বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে এবং দক্ষতার সাথে পালন করলে একজন ব্যক্তি ১০জনের কাজ করতে পারে। সৎভাবে কাজ করলে আমাদের এখানে সেবার গুনগত মান বাড়বে। সরকার বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছে, প্রচুর চিকিৎসক নিয়োগ দিচ্ছে, চিকিৎসা খাতে ব্যবহারের জন্য উন্নতমানের যন্ত্রপাতি দিচ্ছে। আপনারা সেইগুলোর সঠিক ব্যবহার এবং ভালো আচরণ ও সেবার মধ্য দিয়ে জনগণকে আমাদের উন্নয়নের বার্তা দিন। জনগণ যাতে সরকারি সেবা পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের প্রসংশা করে। সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়। এখানে পুলিশ আছে। পুলিশের অফিসে গিয়ে যেনো ভালো সেবা পায়। পুলিশ তো আর অন্য কেউ না। পুলিশ তো আমাদের মতই একটি পরিবারের সন্তান, আমাদের বড় ভাই বা চাচার মতো। তাই না? জনগণ যেনো বলতে পারে যে পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম ভালো সেবা পেলাম। তারা ভালোভাবে কথাগুলো শুনলো। আন্তরিকতা দেখালো। একইভাবে হাসপাতালের চিকিৎসকদের আন্তরিক হতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে আপনাদের জনবল নিয়ে। তাই তো জনবল কম হলেও কিন্তু জনগণ কি বেড়েছে? না। জনগণ কিন্তু তেমন বাড়েনি। তাহলে সেবার মান বাড়াতে তো আর সমস্যা নেই। তবে সরকারি হাসপাতালে এর আগের থেকে এখন রোগী বেশি আসছে। তার মানে সেবার মান বাড়ছে। জনবল কম থাকা সত্ত্বেও এখন সরকারি হাসপাতালে গেলে ভালো সেবা পাওয়া, ভালো আচরণ পাওয়া ও বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়াসহ নানা কারণে মানুষ সরকারি হাসপাতালমুখি হচ্ছে। গতকাল শনিবার দুপুরে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে হাসপাতালের তত্বাবাধায়ক ডা. জমির মোহা. হাসিবুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্বু লাল এবং ডাক্তার ও নার্সসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে হাসপাতালের নবনির্মিত ভবন ও হাসপাতালে ভর্তি বিভিন্ন এলাকার সাধারণ রোগীদের খোঁজখবর নেন তিনি। সেই সাথে রোগীরা হাসপাতালে সঠিক সেবা পাচ্ছে কি-না সে বিষয়েও খোঁজখবর নেন।