স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে হজের পবিত্র আবহ; সামর্থ্যবান মুসলমানরা রওয়ানা হচ্ছেন মহান ইবাদতের উদ্দেশ্যে। সেই ইবাদতে অংশ নিতে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৩০ জন হাজী নিয়ে রওয়ানা করেছে তামিম হজ কাফেলা। চলতি বছরের প্রথম ফ্লাইটেই দেশত্যাগ করবেন তারা। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় জেলার থানা মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রওয়ানা করে কাফেলাটি। রওনার আগে অনুষ্ঠিত মোনাজাতে হাজিদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে মসজিদ প্রাঙ্গণ। মোনাজাত পরিচালনা করেন সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা বশির আহমাদ। অনুষ্ঠানে তামিম হজ কাফেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম বলেন, তামিম হজ কাফেলা চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্যতম পরিচিত হজ এজেন্সি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে হাজিদের সেবা দিয়ে আসছে। চলতি বছর আমরা প্রথম ফ্লাইটেই হজযাত্রীদের পাঠানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। হাজিদের সুষ্ঠু যাত্রা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। তিনি হাজিদের উদ্দেশ্যে বলেন, লক্ষ কোটি টাকা থাকার পরও অনেক মানুষের জন্য হজ করা সম্ভব হয় না। অথচ আল্লাহ তায়ালা আমাদের মতো নগণ্য ব্যক্তিদেরকে এই মহান ইবাদতটি আদায়ের সুযোগ দিয়েছেন। এটি একটি বিরাট দান, যার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত শুকরিয়া আদায় করা উচিত। আল্লাহর অশেষ রহমত ও করুণার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো, এবং এই সম্মানজনক ও পবিত্র সফরটি সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করা আমাদের কর্তব্য। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এম এম শাহাজাহান হোসেন মুকুল, ডা. আব্দুর রহমান, হাজী আনোয়ার হোসেন, ডা. আজগার আলী ও আফসার আলিম প্রমুখ। উল্লেখ্য, গতরাত ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট (বিজি-৩৫০১) ৪১৯ জন সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। একই দিন সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাসেরও প্রথম হজ ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যায়। এর আগে গতকাল সন্ধায় আশকোণাস্থ হাজী ক্যাম্পে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.