স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্ত্রী নিহত
অসুস্থ বেয়ানকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে আলমডাঙ্গার গোকুলখালীতে দুর্ঘটনা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার গোকুলখালীতে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছন থেকে পড়ে আনোয়ারা বেগম (৬২) নামের এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী আনোয়ারুল হক মালিকও আহত হন। স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়। এর আধাঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের গোকুলখালী সেতুর নিকট এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আনোয়ারা বেগম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গুলশানপাড়ার আনোয়ারুল হক মালিকের স্ত্রী। তিনি চুয়াডাঙ্গা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমিরের স্ত্রী এবং সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের আমিরপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের মেয়ে। আজ সোমবার আমিরপুর গ্রামে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।
আনোয়ারুল হক মালিকের ছোট ভাই সাংবাদিক হুসাইন মালিক দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ভাই আনোয়ারুল হক তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে নিয়ে অসুস্থ বেয়ানকে দেখতে মেহেরপুরের দরবেশপুর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় সেখান থেকে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে গোকুলখালী বাজারের সেতুর আগে একটি ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি জোরে ব্রেক করেন। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে আনোয়ারা বেগম মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে আনোয়ারা বেগম মারা যান। আনোয়ারুল হকও সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ভাইয়ের এক ছেলে ও চার মেয়ে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হবে। দাফনকার্যে সকলকে শরীক হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এএসএম ফাতেহ আকরাম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তির আধাঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে আনোয়ারা বেগম মারা যান। মাথায় বড় ধরনের আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ছাগল বাঁচাতে গিয়ে স্বামীর মোটরসাইকেলের পেছন থেকে পড়ে যান স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে, আনোয়ারা বেগমের মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরীফসহ অনেকে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।