কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জগন্নাথপুরের আটকবরে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্থানীয় শহীদ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দামুড়হুদার জগন্নাথপুরে আটকবর স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। আটশহীদের স্মৃতিসৌধে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজি আলী আজগার টগর। জেলা প্রশাসনের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীন ও কালো পতাকা উত্তোলন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। পরে শহীদবেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, দামুড়হুদা থানা, দর্শনা থানা, জেলা মহিলা লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিটের আয়োজনে আটশহীদ মুক্ত মঞ্চে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। এ সময় তিনি বলেন, আগস্ট মাস আসলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে সারাবিশ্ব। ৫ আগস্ট আট শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য শহীদ হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের যে সহযোগিতা করেছিল তাদের সেই সহযোগিতা কখনও ভুলার নয়। ৫, ১৫ ও ২১ আগস্ট যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল সেই ষড়যন্ত্র এখন চলমান রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জনগণকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলো ষড়যন্ত্রকারীরা। তাই আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে। সাংগঠনিক ভীত যদি শক্ত না হয় তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। এ সময় বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজি আলী আজগার টগর, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু, দফতর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব, সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, সাবেক জেলা কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ উদ্দীন বাবু, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইবাদত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগার ফটিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাকারিয়া আলম, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইয়ামিন, নাটুদাহ ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি, সাবেক নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আফজালুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রিপন ম-ল, জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামী নেতা আবু জাফর, মো. ইউসুফ, মো. আরিফ, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি করিম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক নজির আহম্মেদ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মুকুল, সাবেক মেম্বার মো. সবুর, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সাবেক যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের, সিরাজুল ইসলাম আসমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, সহসভাপতি শাহাবুল হোসেন, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, আটশহীদদের পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দোয়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাসুদ উদ জ্জামান লিটু বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, শহীদ ৮ জন হলেন আবুল কাশেম, হাসানুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, তারেক, আফাজ উদ্দিন, কেয়ামদ্দিন, রওশন ও খোকন। ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে চুয়াডাঙ্গার ৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে দামুড়হুদার নাটুদাহে জেলার ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ সমরে শহীদ হন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা – কোটি তরুণের প্রজ্জ্বলিত শিখা শেখ কামাল
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ