বাংলাদেশের একজন হজযাত্রী সৌদি আরবের মদিনায় ভিক্ষা করতে গিয়ে সেখানকার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। যদিও পরে তাকে বাংলাদেশ হজ মিশনের লোকজন মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে যে এজেন্সির মাধ্যমে ওই ব্যক্তি হজে গেছেন সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সৌদি আরবে গিয়ে ভিক্ষা করা ওই হজযাত্রীর নাম মতিয়ার রহমান। তার বাড়ি মেহেরপুরের গাংনীতে। তিনি রাজধানীর ধানসিড়ি ট্রাভেল এয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এবার হজে গেছেন। শনিবার ধানসিঁড়ি ট্রাভেল এয়ার সার্ভিসের মালিক মো. আল মামুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। নোটিশে বলা হয়, আপনার এজেন্সির একজন হজযাত্রী (মো. মতিয়ার রহমান) গত ২২ জুন আনুমানিক ৫টায় মদিনা শরিফে ভিক্ষা করতে গিয়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। এ ঘটনা জানার পর বাংলাদেশ হজ মিশনের একজন কর্মী থানায় মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। ‘আপনার এজেন্সির মাধ্যমে পাঠানো ওই হাজযাত্রী ব্যাগ ছিনতাই হওয়ার নাটক করে ভিক্ষাবৃত্তির কারণে গ্রেফতার হওয়ায় মদিনা তথা সৌদিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণœ হয়েছে। আপনার এজেন্সির এরূপ কার্যক্রমের কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হয়েছে এবং সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে যা ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ এর পরিপন্থি।’ নোটিশে আরও বলা হয়, আপনার পাঠানো হজযাত্রীকে গাইড করার মতো কোনো মোনাজ্জেম ছিল না এবং হজযাত্রীর বসবাসের বাড়ি/হোটেলও ছিলো না বলে জানা যায়। এটি হজযাত্রী প্রেরণের শর্তের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। তাই হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী এজেন্সির বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সেই জবাব তিনদিনের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর কোটা ৪ হাজার ১১৫ জন। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার কোটা ৫৫ হাজার ৮৮৫ জন। সর্বশেষ শনিবার পর্যন্ত ১০৮টি ফ্লাইটে সৌদি আরবে গেছেন ৩৮ হাজার ৮৮৯ জন হজযাত্রী।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ