সোনার মূর্তির ছবি দেখিয়ে বিক্রির চেষ্টা, আলমডাঙ্গার নান্দবারের মফিজুল পুলিশ হেফাজতে
আসমানখালী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নান্দবার গ্রামের মফিজুল ইসলামকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তার কাছে সোনার তিনটি গণেশ মূর্তি ও সোনার পয়সা আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে মফিজুল গণেশ মূর্তির ছবি দেখিয়ে বিক্রির চেষ্টা করেছেন বলেও পুলিশের কাছে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মফিজুলকে আটক করে থানায় নেয়। করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। মফিজুল ইসলাম নান্দবার নিউ মার্কেট পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, মফিজুল ইসলাম কাছে তিনটি সোনার গণেশ মূর্তি ও সোনার পয়সা আছে বলে দাবি করে রাজবাড়ী জেলার তার এক আত্মীয়ের কাছে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ছবি পাঠান। সেটা বিক্রির জন্য দর কষাকষি চলছে। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর ঘটনাস্থলে এলে পরিবারের লোকজন গাঢাকা দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় মফিজুলকে হাজির করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি অস্বীকার করেন মফিজুল।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রনি আলম নূর বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তি জানতে পেরে মফিজুলকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বড়গাংনী বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওসি মো. শফিক হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জিজ্ঞাসা করার জন্য মফিজুলকে নিয়ে এসেছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সী মো. এমদাদুল হক, ইউপি সচিব মো. মোশারেফ হোসেন, ইউপি ওয়ার্ড সদস্য সাইদুর রহমান মাস্টার, কলিম উদ্দীন, বড় গাংনী বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জমির উদ্দীন প্রমুখ।