সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে দর্শনায় বিজিবির মতবিনিময়সভা

অপরাধ প্রবণতা রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির আয়োজনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় দর্শনা জয়নগর বিজিবির আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান উপস্থিত থেকে সকলের সাথে ঈদত্তোর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন, অবৈধ কর্মকান্ড, সীমান্ত অতিক্রম রোধ, আন্ত সীমান্ত অপরাধ দমন ও আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে মতবিনিময়সভায় আলোচনা হয়। পরবর্তীতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র ভূমিকা, চোরাচালান প্রতিরোধ কর্মকান্ডে সম্মিলিত প্রয়াস, সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সীমান্ত উন্নয়ন, নিরাপত্তায় সম্মিলিত প্রয়াস, অর্থ সামাজিক উন্নয়নের সম্মিলিত প্রয়াস, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য সমাধান, সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কারিগরি, কর্মমুক্তি প্রশিক্ষণ, কৃষি, পশু পালন খাতে সহায়তা, নারী উন্নয়ন কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ও কর্পোরেটর সংযোগ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়। দামুড়হুদা ইউএনও, শেষের দিকে এসিল্যান্ড, ওসিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের মাঝে পয়েন্ট আহ্বান করেন। সীমান্ত এলাকায় বাল্যবিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দমন, মহিলা বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ, ইভটিজিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে একটু কম যাতে না বৃদ্ধি না পায় সেদিকে সর্বপ্রকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বপ্রকার তথ্য দিয়ে সকল প্রশাসনকে সহযোগিতা, যেকোনো প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা, সীমান্তবর্তী এলাকায় সকল প্রকার অটো বাইক, অটো ভ্যান পৌরসভার মাধ্যমে লাইসেন্স কার্ড করা যাতে তার নাম ঠিকানা সকল তথ্য থাকে এবং যে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশির জন্য ডাকলে সহজে তারা এগিয়ে আসে এবং নাম পরিচয় সহজে যাতে পাওয়া যায়, মাদক ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় ভয়-ভীতি দেখানো, মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় ছোট ছেলেমেয়েদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে জনশ্বাসনতা বৃদ্ধি, জনসংযোগ বৃদ্ধি, মাদক ব্যবসায়ীদের মূল গডফাদারকে আটকের ব্যবস্থা গ্রহণ, সচেতন ব্যক্তিবর্গ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক প্রতিরোধ করা, প্রতিপক্ষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের সাথে কি ধরনের আচরণ করেন সেই সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ, কোরআন ও হাদিসের আলোকে সীমান্ত পাহারায় সুফল সম্পর্কে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী পরকালে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানানো, ১৬ বছরের নিচে প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেট সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারিদের অন্য কোন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দর্শনা চেকপোস্ট, মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি’র নিমতলা বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে বিজিবি চেক পোস্ট বসানো, স্বর্ণ এবং রূপ্য চোরাকারবারিদের গডফাদারদের চিহ্নিত করা, দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তোলা, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারি নির্মূলে কমিটি গঠন করা, মাঝে মাঝে এ ধরনের সেমিনার মত বিনিময় সভার আয়োজন করা, সীমান্ত এলাকায় এনজিওদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম ও সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিভিন্ন চোরাকারবারিদের ব্যবসা পরিচালনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সীমান্ত এলাকায় দেড়শো গজের মধ্যে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ফসল আবাদ না করা এবং ভারতের ১৫০ গজ সীমান্ত এলাকায় কলাগাছের বাগান তৈরিতে বাধা দেয়া বিষয়গুলো মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সুধীজনের আলোচনায় উঠে আসে। মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথী মিত্র, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, দর্শনা পৌর প্রশাসক কেএইচ তাসফিকুর রহমান, বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর, দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার জাকির হোসেন প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More