হরিণাকু-ু প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলার পারদখলপুর গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম ওরফে (পচাঁ) বাহিনীর প্রধান এখন তারই সহকারী সোহেল। সর্বহারা পচা বাহিনীর প্রধান শহিদুল ইসলাম পচা র্যাবের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তারই সহকারী সোহেল সর্বহারা দলের দায়িত্ব নেন বলে গোপনসংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে। সোহেল পার্শবর্তী শৈলকুপা উপজেলার মালমারী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। সোহেলের গ্রামের কয়েকজন জানান, সোহেলের ছোটচাচা মনজুরুলও সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে জড়িত ছিলেন। সেই সময়ই সে মার্ডার হন। যার পরপর সোহেল চাচার হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য অবৈধ বাহিনীর সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং সে গ্রাম ছাড়া হন। শুনছি কয়েকবার তার জেল-জরিমানাও হয়েছে। তারপর আর সে গ্রামে আসতে পারেনি, আসলেও রাতের আঁধারে আসে, শুনেছি ঝিনাইদহে থাকে। সোহেলের স্ত্রী সন্তান আছে কি না সে ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, তার স্ত্রী আছে একটি ছেলে সন্তান আছে, এইতো ক’দিন হলো তার সুন্নাতে খাৎনার দাওয়াত খেয়েছি। তার আর কোনো স্ত্রী আছে কি না জানতে চাইলে বলেন, আমার জানা মতে নেই। অথচ সোহেল তার প্রথম স্ত্রী সন্তান ফেলে গোপনে আবার সর্বহারা বাহিনীর প্রধান পচার মামাতো বোন মৃত তাহের ম-লের ছোট মেয়েকে বিয়ে করে নিজ উপজেলা ছেড়ে হরিণাকু-ু উপজেলার পারদখলপুর গ্রামে অর্থাৎ পচার নিজ গ্রামেই তার বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করছে বলে গোপন সংবাদের বিত্তিতে জানা গেছে। এ ব্যাপারে পারদখলপুর গ্রামের কয়েকজন জানান, সোহেল দীর্ঘদিন যাবৎ পচা বাহিনীর সাথে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ বেশকিছু খারাপ কাজের সাথে জড়িত ছিলো। বাহিনীর প্রধান পচা বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর সেও বেশকিছু দিন আত্মগোপনে ছিলো। হঠাৎ করে ঈদের পরপর রাতের আঁধারে তার বাহিনী নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করে। যা এলাকার অনেকের জানা। সে বর্তমানে আবার নতুন করে দলগঠন করে তার সাথে-থাকা সহকারীদের নিয়ে সন্ত্রাসী তা-ব চালাচ্ছে। যার ভয়ে কেও বলতে পারে না। কখনো হাত-পা কেটে নেয়া-কখনো বা হত্যার হুমকি দিয়ে প্রথমে সে চাঁদা দাবি করে, তারপর সে প্রশাসনের বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স হিসেবে পরিচয় দেয় এক পর্যায়ে টাকা দিতে রাজি না হলে তার অন্ধকার বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের প্রতিনিধি কাছে নাম না প্রকাশের শর্তে হরিণাকু-ু উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের একজন বলেন, সোহেল আমার কাছে প্রথমে চাঁদা দাবি করে, আমি চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে র্যাব দিয়ে ধরিয়ে দিবে বলে জানায়, তারপরও আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রাতে তার বাহিনী দিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যায় এবং হত্যার হুমকি দিলে আমি প্রাণ ভয়ে ২২ হাজার টাকা দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছি। তিনি আরও বলেন, এমন অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা আছে সোহেলের বিরুদ্ধে যা একটু খোঁজ নিলেই বেরিয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে মালমারী গ্রামের ইউপি মেম্বার বাবুল হোসন জানান, সোহেলের জীবন অনেক কষ্টের, তার চাচাকে মেরে ফেলার পর সে গ্রাম ছাড়া হয়েছে, আর আসেনি শুনেছি ঝিনাইদহে থাকে। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে জানতে চাইলে জানান, সে একটা চিটার বাটপার এসব করেই সে খাই। কিন্তু লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় আমরা কিছুই করতে পারি না। তারপরও তার ব্যাপারে প্রশাসন সতর্ক আছে। ঘটনা প্রসংঙ্গে আবারও যায় তার নিজ গ্রামে আমাদের প্রতিনিধি, সেখানে গেলে কয়েকজন বলেন, ভাই ক্যামেরা বন্ধ করেন ছবি তোলেন ক্যান? ছবি তুলে কি হবে তার ব্যাপারে তো সবাই জানেন, কয় কিছুই তো হয় না, চাঁদাবাজি সন্ত্রাসীসহ সকল অপকর্মই তো করে বেড়ায়, এর আগে তার চাচা মনজুরুল করতো এখন সে করে। আবার নাকি র্যাব ডিবির সোর্স কিছুই বুঝি না, এসব লোক কি করে প্রশাসনের সোর্স হয়। যারা অপরাধ করে তারাই যদি আবার প্রশাসনের সোর্স হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কে কথা বলে কে মার খাবে। অপর একজন বলেন, ভাই আপনারা সাংবাদিক আপনারা সবই জানেন, কয় তার তো কিছুই হয় না, আপনারা একটু ভাবুন তো কেন সে ঘরছাড়া, বাড়িছাড়া, মরলো তার চাচা। কিন্তু কেন সে ঘরছাড়া হলো, কেন সে আবার নতুন বিয়ে করলো, তার আবার না কি আরেক বাহিনীর প্রধানের মামাতো বোন। দেখুন তো সে কি কাজ করে, কি করে চলে তার সংসার, আমরা এতো কাজ করেই সংসার চলে না, আবার সে শুধু ঘুরে বেড়াই তাহলে তো সে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসবাজি করবেই। আপনারা কিছুই করতে পারি না, তার মোবাইল ট্যাগ করলেই তো সবি বেরিয়ে আসে, খালিখালি ছবি তোলেন। বর্তমান সর্বহারা বাহিনীর প্রধান সোহেলের ব্যাপারে পারদখলপুর, শ্রীরামপুর, পেশীনগর, ফতেপুর, রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাধারণ মানুষের মনে সর্বক্ষণ আতংক বিরাজ করছে বলে জানান অনেকে। পারদখলপুর গ্রামের সচেতন মহল মনে করেন, পাশের উপজেলা শৈলকুপা থেকে এ মহামারী করনার সময় একটা ছেলে কেন অন্য গ্রামে থাকে তাছাড়া পচা বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর কে চালায় তার দল, কোথায় গেলো তার অস্ত্র, কোথায় গেলো তার সহকারীরা কে-কে থাকে সোহেলের সাথে, তারা কেমন মানুষ, সোহেলের মোবাইলে কে কে ফোন করে, কই কোন ভালো মানুষতো তার সাথে যোগাযোগ করে না। এ তথ্য প্রযুক্তির যুগেও যদি আবার সন্ত্রাসী কর্মকা- চালায় তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে কি হবে? মোয়াজ্জেম বাহিনী, বাদশা বাহিনী, পচা বাহিনীর পর আবার নতুন করে সোহেল বাহিনী হয়েছে, প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে পারদখলপুর, শ্রীরামপুর, পেশীনগর রামচন্দ্রপুর, দখলপুর গ্রামের সচেতন মহল মনে করেন, আবার নতুন করে মোয়াজ্জেম, বাদশা,পচা বাহিনীর মতো সর্বহারা বাহিনী তৈরি হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকার সর্বসাধারণের।