সরকার পরিকল্পিত উপায়ে চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে
চুয়াডাঙ্গায় ৩দিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধনকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার
স্টাফ রিপোর্টার: ‘কৃষিই সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ৩দিনব্যাপী কৃষি মেলা শুরু হয়েছে। গতকল সোমবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ কৃষি মেলার উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃষি নিয়ে যে স্বপ্ন ছিলো তা এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা পূরণ করে চলেছি। সরকার পরিকল্পিত উপায়ে চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কৃষিতে বিশেষ ভর্তূকি প্রদান করে চলেছেন। কম জমিতে কিভাবে অধিক ফসল ফলানো যায় সে বিষয়ে কৃষি বিভাগ ভূমিকা রেখে চলেছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত কৃষি নিয়ে কাজ করা। অন্তত নিজের খাওয়ার জন্যে হলেও ফসল ও শাক-সবজি চাষ করা। কোনো জায়গা জমি ফেলে রাখা যাবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার মাটি অত্যন্ত উর্বর। এ জেলায় যে কোনো ফসল ও সবজির বাম্পার ফলন হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। তিনি শুধু ঘোষণা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি। তিনি নিজে তার বাস ভবনে চাষ করেও দেখিয়ে দিয়েছেন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকার জন্য যতোটুকু সম্ভব খাদ্য উৎপাদনে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে আমাদের সবাইকে। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গরিব রুহানি মাসুম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাদী মিলি প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত কৃষকদের আধুনিক চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারনা দিতে ও আগ্রহী করে তুলতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সদর উপজেলার কৃষক ও কৃষি সংগঠনের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। মেলায় মোট ২০টি স্টল রয়েছে। অতিথিরা মেলা পরিদর্শন শেষে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খরিপ মরসুমে পাট ও উফশী আউশ ধানের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পাট বীজ, ধান বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করেন। মোট এক হাজার ৩৪০ জন কৃষককে এক কেজি করে পাট বীজ প্রদান করা হয়। আর ৬ হাজার ৫৫০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে ধান বীজ ও ১০ কেজি করে সার দেয়া হয়।