চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা………….
স্টাফ রিপোর্টার: অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের চলমান অভিযান সফল করার পাশাপাশি সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানের সামনে বা পাশে মুক্ত জমি রয়েছে তা সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পাসপোর্ট অফিসসহ প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবামূলক কর্মকা- স্বচ্ছ্বতার সাথে যাতে হয় সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধানকে দায়িত্ব নিতে হবে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, সিভিল সার্জন ডা. মো. সাজ্জাদ হাসানসহ জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ৪ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, বিজ্ঞ পিপি, জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সদস্যসহ অনেকে। চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যান বেপরওয়া গতিতে চলার কারণে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, তেমনই বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বহনের সময় প্রধান প্রধান সড়কে মাটি পড়ে পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনায় অনেকের জীবন বিপন্নের আশঙ্কা রয়েছে। জেলা শহরের নতুন নির্মিত মাথাভাঙ্গা ব্রিজের দু’প্রান্তেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে। উপস্থিত অনেকেই এসব প্রসঙ্গ তুলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের যেমন অনুরোধ জানানো হয়, তেমনই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ পৌর এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। উপস্থিত সিভিল সার্জন তার বক্তব্যে হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে রোগীর দর্শনার্থীদের সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে দালাল মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান। তিনি ১২ বছর থেকে ১৭ বছরের সকল শিশুকে করোনা প্রতিরোধ ভ্যাকসিন নেয়ার আহ্বান জানিয়ে অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আরও বলেন, যেহেতু শিশুদের ফাইজার টিকা দেয়া হচ্ছে সেহেতু উপযোগী স্থান বেশি না থাকায় অল্প কিছু স্থানে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকলে ধৈর্য ধরে সুশৃঙ্খলভাবে টিকা নিলে পরিবেশ যেমন ভালো থাকে, তেমনই টিকা গ্রহণের পর শিশু নির্ধারিত সময় স্বস্তির সাথে টিকাদান কেন্দ্রেই অবস্থান করতে পারে। অপরদিকে জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র জীবননগরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি থেকে অবৈধে স্থাপন উচ্ছেদের প্রেক্ষিতে বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়ার কথা তুলে ধরে বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমির শেষ প্রান্তে অস্থায়ীভাবে ব্যবসার সুযোগ দেয়া যায় কি না তা মানবিক বিবেচনা করার অনুরোধ জানান।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির গতসভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন ও দৃঢ়করণ করার পাশাপাশি গত এক মাসে চুয়াডাঙ্গার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উপস্থাপন করা হয়। সম্প্রতি একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করায় যেমন সন্তোষ প্রকাশ করা হয়, তেমনই আইনশৃঙ্খলা মোটামুটি স্বাভাবিক থাকায়ও সন্তোষ প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত সকলকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্বপালনের অনুরোধ জানানো হয়।