সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানালেন টোটন জোয়ার্দ্দার
চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন : সভাপতি নজমুল হেলাল সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নজমুল হেলাল সভাপতি ও নজির আহমেদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের কুঞ্জ আফিয়েত কার্যালয়ে নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে দায়িত্বভার অর্পণ অনুষ্ঠিত হয়। জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০২১ খ্রি. তিন মাস মেয়াদি চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের এডহক কমিটির আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যবৃন্দ। সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার সার্বিক তত্ত্বাবধান করায় আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন নবনির্বাচিত কমিটি। একইভাবে সুন্দরভাবে নির্বাচন কার্য পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. মো. আবু তালেব বিশ^াস, রিটার্নিং অফিসার অ্যাড. হাজি এমএম মনোয়ার হোসেন সুরুজ, প্রিসাইডিং অফিসার মোর্তজা মোহাম্মদ মিল্টনসহ নির্বাচিত সদস্যবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। দায়িত্ব হস্তাস্তরের পূর্বে নির্বাচিত সদস্যবৃন্দকে শপথবাক্য পাঠ করান নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. মোঃ আবু তালেব বিশ^াস। সভাপতির বক্তব্যে রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাহিত্যচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে চুয়াডাঙ্গার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির উন্নয়নে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের আরো গতিশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেন এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের সদস্যবৃন্দসহ সকলের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন ‘বর্তমানে সাহিত্য-সংস্কৃতির অঙ্গনে ভালো সময় যাচ্ছে না। ডিজিটাল যুগে যুবসমাজ সাহিত্যবিমুখ হয়ে পড়ছে। আমি চাই চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ তাদের কর্ম ও যোগ্যতা দিয়ে সাহিত্যাঙ্গনের জন্য সুদিন বয়ে আনবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমি সবসময় সাহিত্যপ্রেমীদের সঙ্গে আছি। ভালো কাজের সঙ্গে আছি।’
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় দৈনিকসমূহে প্রকাশিত নির্বাচনী তফশিল অনুযায়ী গত ২০ মার্চ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২২ মার্চ ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ, ২৩ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৪ মার্চ মনোনয়নপত্র বিতরণ, ২৫ মার্চ মনোনয়নপত্র জমা দান, ২৭ মার্চ মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ২৮ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ছিলো। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী ১৩টি পদের মধ্যে গ্রন্থাগার সম্পাদক ব্যতীত অন্যান্য ১২টি পদের অনুকূলে একটি করে অর্থাৎ ১২টি মনোনয়নপত্র এবং গ্রন্থাগার সম্পাদক পদের অনুকূলে ২টি মনোনয়নপত্র বিতরণ হয়। বিতরণকৃত ১৪টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ১৩টি পদে মনোনয়নপত্র জমা হয়। একজন গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা না দেয়ায় জমাকৃত ১৩টি মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ বলে গণ্য হয়। কোনো প্রার্থীই তাদের দাখিলি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় মনোনয়নপত্রসমূহ চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়। কোনো পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন কমিশন ১৩ জন চূড়ান্ত প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে। নির্বাচিতরা হলেন কবি নজমুল হেলাল সভাপতি এবং নজির আহমেদ সাধারণ সম্পাদক। অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন সহ-সভাপতি অ্যাড. বজলুর রহমান ও গোলাম কবীর মুকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ মীর, অর্থ সম্পাদক মো. আনছার আলী, দফতর সম্পাদক সুমন ইকবাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা, লোকসাহিত্য সম্পাদক কাজল মাহমুদ, গ্রন্থাগার সম্পাদক হোসেন মোহাম্মদ ফারুক, শিশু-কিশোর বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ারা খুশি, কার্যনির্বাহী সদস্য রিচার্ড রহমান ও হোসেন জাকির।