নির্বাচনি এলাকার হাসাদাহ ও তিতুদহ ইউনিয়নে দিনভর গণসংযোগকালে এমপি টগর
দর্শনা অফিস: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, পরপর তিনবারের নির্বাচিত সফল সংসদ সদস্য, উন্নয়নের রূপকার, জনপ্রিয় নেতা হাজি আলী আজগার টগর ছুটছেন নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায়। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ভোটারদের সাথে করছেন কুশল বিনিময়, চাচ্ছেন দোয়া ও ভোট। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার দিনভর জীবননগরের হাসাদাহ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন এলাকায় করেছেন নির্বাচনি গণসংযোগ ও পথসভা। পৃথক দুটি ইউনিয়ন এলাকায় গণসংযোগকালে এমপি আলী আজগার টগর বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে। আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নে বিএনপি-জামায়াত দিশেহারা হয়ে গেছে। নির্বাচনে তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা বেসামাল হয়ে ভোট বানচালের অহেতুক পায়তারায় মাঠে নেমেও হয়েছে ব্যর্থ। তবুও তারা বসে নেই। দেশে সৃষ্টি করছে অরাজকতা। একাত্তরের পরাজিত অপশক্তিকে সাথে নিয়ে বিএনপি দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অপচেষ্টায় মেতেছে। তাদের সে দুঃস্বপ্ন পূরণ হবে না, পূরণ হতে দেবে না দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ। শান্তিপ্রিয় মানুষ এখন আর সন্ত্রাস ও অরাজকতা দেখতে চায় না। তাই আবারো দেশের মানুষ নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে কোন প্রকার বিভেদ না রেখে আসুন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আবারো নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। হাসাদাহ ইউনিয়ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান রবি বিশ্বাস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, কেরুজ চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত এডিএম শেখ শাহাব উদ্দিন, যুবলীগের সভাপতি জুম্মাত আলী, সাধারণ সম্পাদক মুকুল বিশ্বাস প্রমুখ।
এদিকে সন্ধ্যার পর তিতুদহ ইউনিয়ন এলাকায় দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করেন এমপি টগর। রাত ৮টার দিকে বড়সলুয়ায় পথসভায় বক্তব্য দেন। সভার সভাপতিত্ব করেন তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শুকুর আলী। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মাস্টার, গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজু, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস শুকুর, যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.