রাজশাহীর চিকিৎসককে হত্যার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর চিকিৎসক ডা. গোলাম কাজেম আলী আহম্মদকে নির্মমভাবে হত্যাকা-ের প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসেসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবাধায়ক ডা. আতাউর রহমান, সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন, সিনিয়র গাইনী কনসালটেন্ট ডা. আকলিমা খাতুন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান, সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময়, চক্ষু কনসালটেন্ট ডা. এমবি আজম, সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন প্রমুখ। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে ডা. গোলাম কাজেম আলী আহম্মদকে হত্যা করে যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরনীয়। যে চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে তিনি একজন মেধামি ছিলেন। আজ বিচারের জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর কতদিন আমাদের ভাইদেরকে হত্যা করা হবে। এ পর্যন্ত যতজন চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে তারমধ্যে আজ পর্যন্ত একজন হত্যাকারির বিচার কি হয়েছে। তাদেরকে কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের বিচার চাইতে হবে কেন? বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আমরা যেকোন অপরাধের বিচারের আশা করতে পারি। আমাদের সকল চিকিৎসককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই হত্যাকান্ডের বিচার চাইতে হবে। প্রয়োজনে আমরা কর্মবিরতি করবো। কিছুদিন আমরা দেখবো, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো। কেন্দ্রীয় বিএমএ, স্বাচিপের সাথে যোগাযোগ রাখবো তারা কোন নির্দেশনা দেয় কি না। যদি তেমন কোনো সারা না পাই তাহলে আমরা চুয়াডাঙ্গা থেকে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. আবুল হোসেন, গাইনী কনসালটেন্ট ডা. শাপলা খাতুন, মেডিকেল অফিসার ডা. শিরিন জেবিন সুমিসহ সদর হাসপাতালের সকল চিকিৎসকবৃন্দ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.