চুয়াডাঙ্গার জীবননগর কৃষ্ণপুর সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত
স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর কৃষ্ণপুর মাঠে সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনে প্রথম দিকে যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন এখন চাঁদাবাজিসহ ভাংচুর মামলার আসামি হয়ে গ্রেফতার এড়নোর চেষ্টা কলছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা কৃষ্ণপুরের ছেলে জাহাঙ্গার আলম অন্যতম। ওপরদিকে স’ মিল ভাংচুৃরসহ টাকা লুটপাট মামলায় গ্রেফতারকৃত ৪ জনকে রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কৃষ্ণপুর মাঠে পরিবেশ বান্ধব সৌর শক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুত উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয় মূলত ২০১৮ সালে। প্রথম দিকে অকৃষি জমি হিসেবে ছাড়পত্র পেলেও পরবর্তিতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সচিবালয় থেকে সরেজমিন তদন্ত করা হয়। এ তদন্তে ওই মাঠে বাদাম ও পেয়ারার আবাদের কথা উল্লেখ করা হয় বলে সূত্র জানিয়েছে। সরকারের খনিজ ও জ¦ালানি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর সিঙ্গাপুরের কোম্পানি চলতি বছরের শুরুর দিক থেকে জমি কেনার কার্যক্রম শুরু করে। শতাধীক বিঘা জমি ইতোমধ্যে কেনাও হয়েছে। ওই জমিতে অফিস কক্ষ, গাড়ির গ্যারেজসহ স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। লিন্টন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এরই মাঝে গত ৭ জুলাই দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিকট আন্দোলকারী গ্রামবাসী আর্জি জানিয়ে ওই জমিতে সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করতে জমি দিতে বল প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। ওইদিনই বিকেলে নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়। রড গ্রিল লুট হয়। এসব অভিযোগতুলে মামলা হয়। কোম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধি আবু তাহের জবা বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার একাংশে বলা হয়েছে, আসামী সাজ্জাদ ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। জাহাঙ্গীর আলম কোম্পানির ২ শতাংশ হিসেবে ৩৪ কোটি টাকা দাবি করে। এ মর্মে আগেই জীবননগর থানায় জিডি করা হয়েছে বলে গত ৮ জুলাই দায়ের কৃত মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় ৬৫ জনের নাম ঠিকানা উল্লেখ করে আরও ১১০ থেকে দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে। স’ মিলে হামলা ভাংচুর লুটপাটের পৃথক মামলায় ওইদিনই ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের মধ্যে আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়েছে, আবাদী জমিতে পাওয়ার প্লান্ট করা হলে গ্রামবাসী ভূমীহীন হয়ে পড়বে। পক্ষান্তরে কোম্পানির তরফে বলা হয়েছে, একজন মানুষের নিকট থেকেও তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জমি নেয়ার সুযোগ নেই। উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ করেই তা নেয়া হচ্ছে। অপরদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে আব্দুর রশিদ শাহর স’ মিলে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ মিলে থাকা টাকা লুট করা হয়েছে।