দামুড়হুদা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ২০২০-২১ অর্থবছরে সমলয়ে চাষাবাদের রোরো ধান কর্তন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদার হাউলীর মাঠে কম্বাইন হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন ও একই এলাকার ঈদগা মাঠে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরল ইসলাম সরকার।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, এ দেশের অর্থনীতি মূলত ধান উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল। দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে খাদ্য চাহিদা। নতুন নতুন বাড়ী-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বৃদ্ধির সুযোগ না থাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের মাধ্যমে কম খরচে অধিক ফলন বাড়াতে আমাদের উচ্চ ফলনশীল ও আধুনিক পদ্ধতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তেমনই যান্ত্রিক পদ্ধতিতে যেমন খরচ কম হয়েছে তেমনই যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কর্তন করলে একদিকে শ্রমিক কম লাগবে অন্যদিকে খরচও অনেকাংশে কমে যাবে। এতে চাষিরা বাড়তি লাভবান হবেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলী হাসানের সভাপতিত্বে ধান কর্তন ও আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ অফিসার সুফি মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান।
স্বাগত বক্তব্যে কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান বলেন, দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে কৃষিতে শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে কম্বাইন হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন করতে সময় যেমন কম লাগবে সেই সাথে খরচও কম হবে।
উল্লেখ্য, দেশের ৬১ জেলার মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের অদূরে হাউলির ১নং সেচ পাম্পের আওতায় মাঠে সমলয়ে চাষাবাদের আওতায় আধুনিক পদ্ধতিতে ১৫০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের এ বোরো ধান রোপণ করা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
বাবুল আক্তারের আরও এক পরকীয়ার হদিস: এসআই আকরাম হত্যার নেপথ্যেও তিনি
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ