যশোরে করোনা ও উপসর্গে ১৭ জনের মৃত্যুর রেকর্ড
যশোর প্রতিনিধি: যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে রেকর্ড ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে ৭ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে শনিবার আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছেন ১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯৫ জনের। ৫৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্তের এ সংখ্যা পাওয়া গেছে।
এছাড়া যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালেও বেড়েছে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গের রোগীর চাপ। ১৪০টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২১৬ জন। গতকাল রোববার যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রেহেনেওয়াজ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৫৭২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ২৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ ৭৫ জন করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। জিন এক্সপার্টের মাধ্যমে ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দুজনের এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন খুলনা মেডিকেল কলেজে কোনো নমুনা প্রেরণ করা হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের হার ৩৪ ভাগ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৬৯। জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ২৩২ জন, সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৯ জন।
এদিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১৪০টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২১৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১০ ০জন। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহমেদ জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭ জন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। যশোর হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত রেড জোনে এখন ভর্তি আছেন ১২১ জন। এখানে শয্যা সংখ্যা ১১৮। তবে করোনা রোগের উপসর্গ নিয়ে ইয়েলো জোনে ভর্তি রয়েছেন ৯৫ জন। এখানে শয্যা সংখ্যা মাত্র ২২। অর্থাৎ রেড ও ইয়েলো জোনে মোট ১৪০টি শয্যা থাকলেও রোগী ভর্তি রয়েছে ২১৬ জন। হাসপাতালের রেড জোনে ৪০টি শয্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, যশোরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও রয়েছেন। প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা সম্মিলিতভাবে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।