ময়লাযুক্ত পানির মধ্যেই নিতে হলো চিকিৎসা
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের টয়লেটের পানির কল চুরি
আফজালুল হক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে ময়লাযুক্ত পানির মধ্যেই চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে শতাধিক রোগীদের। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে দেখা যায়। এসময় চিকিৎসা নিতে আসা এক বৃদ্ধা পা পিচলে ময়লাযুক্ত পানির মধ্যে পড়ে যেতে দেখা যায়। পরে অন্যান্য রোগীর স্বজনরা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বহির্বিভাগের ১২৬ এবং ১২৭ কক্ষের মাঝেই রয়েছে রোগীদের ও চিকিৎসকদের জন্য টয়লেট। গিয়ে দেখা যায় টয়লেটটি ময়লা অবর্জনায় ভরপুর। এমনকি টয়লেটে যাওয়ার রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সঠিক তদাকরি না থাকায় টয়লেটটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই টয়লেটের পানির কল কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। সেখান ১২১, ১২৩, ১২৫, ১২৮ এই চার কক্ষের সামনের মেঝেতে পানি আসতে শুরু করে। বাড়তে থাকে ময়লাযুক্ত পানি। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়। চলাচলের সময় এই ময়লাযুক্ত পানি ছিটকে প্রায় রোগীর কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। ঠিক এসময় এক বৃদ্ধা পা পিচলে পড়ে যেতে দেখা যায় এই ময়লাযুক্ত পানিতে।
শারমিন আক্তার নামে এক নারী দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমার এক বছরের বাচ্চাকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. খোকনের নিকট নিয়ে এসেছি। পানি আসায় ধুলাবালি থাকায় টাইলস পিচ্ছিল হয়ে গেছে। সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। একটু এদিক ওদিক হলেই পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রায় এক ঘণ্টা যাবত পানি পড়লে হাসপাতালের কেউ আসেনি।
মাইমুনা নামে এক নারী দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, মেয়েকে নিয়ে গাইনি চিকিৎসক শাপলা খাতুনের নিকট এসেছি। এই চিকিৎসকের রুমের সামনে পানিতে ভরপুর। সেখানে ৩০-৪০ রোগী লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। টাইলসে পানি জমায় পিচ্চিল হয়ে গেছে। পানির ওপর দিয়ে চলাচলের কারণে কাদাযুক্ত পানি ছিটকে অনেকের কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আমার পাশেই এক বৃদ্ধা পা পিছলে পানির মধ্যে পড়ে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠায়। তার পুরো জামা কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এএসএম ডা. ফাতেহ আকরাম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, টয়লেটের পানির কল ভেঙে যাওয়ায় এ সমস্যা হয়েছিল। পরে মেরামত করা হয়েছে।