মোবাইলফোনসহ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র
দামুড়হুদার নতিপোতায় দোকানে তালা না দিয়ে বাড়িতে বিশ্রাম নিতে গিয়ে বিপত্তি
দামুড়হুদা ব্যুরো: দামুড়হুদার নতিপোতায় দোকানে তালা না দিয়ে বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম নেয়ার সময় দোকানের সাটার তুলে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইলফোন নিয়ে সটকে পড়েছে প্রতারকচক্র। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার নতিপোতা গোরস্থানপাড়ার মিঠুর কিটনাশকের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে. চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গোরস্তানপাড়ার শুকর আলীর ছেলে মিঠু (৩০) দীর্ঘদিন ধরে নিজ গ্রামে সার/কিটনাশকের ব্যবসা করে আসছেন। তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্রাম নেয়ার জন্য দোকানে তালা না দিয়ে সাটার নামিয়ে নিজ বাড়িতে যান। এসময় প্যান্ট/সার্ট পরিহিত দুজন ব্যক্তি মোটারসাইকেলযোগে ওই দোকানের সামনে হাজির হয়। প্রত্যক্ষদর্শী একই গ্রামের ফয়জদ্দীনের স্ত্রী লিলি খাতুন বলেছেন, আমি ধানক্ষেত পাহারা দিচ্ছিলাম। এসময় দুজন লোক মিঠুর দেকোনের সামনে এসে দাঁড়ায়। কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর তারা মিঠুর খোঁজ করতে থাকে। তারা আমাকে দোকানের অদূরে বসে থাকতে দেখে ডাক দেয়। আমি এগিয়ে গেলে তারা বলে দোকানদার নেই। আমি তখন বলি ও বাড়িতে গিয়েছে। ডেকে আনবো? এ কথা বলার সাথে সাথে তারা বলে না না ডাকতে হবে না। আপনি আমাদের ঠা-া পানি খাওয়ান। আমি পাশের বাড়িতে পানি আনতে গেলে তারা বলে মিঠুর বাড়ি যান। ওদের বাড়ি থেকে পানি নিয়ে আসেন। তাদের কথামতো আমি মিঠুদের বাড়ি যায় এবং পানি নিয়ে ফিরে আসে দেখি তারা নেয়। দোকানের সাটার তোলা। পরে মিঠুকে খবর দেয়া হয়। মিঠু দোকানে এসে দেখে ক্যাশ বাক্সে রাখা টাকাগুলো নেই। এছাড়া একটি মোবাইলফোনও নিয়ে গেছে তারা। দোকানে কত টাকা ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাজার বিশেক টাকা ছিলো। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এলাকার সচেতন মহল বলেছেন, ঈদকে সামনে রেখে সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র মাঠে নেমেছে। তারা করোনার অজুহাত দেখিয়ে সাহায্য দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিচ্ছে। এলাকার অনেকেই বুঝে না বুঝে প্রতারকচক্রের ফাঁদে পা দিতে পারে। সুতরাং সবাই সতর্ক থাকতে হবে এবং এলাকায় অচেনা লোকজন দেখলে পুলিশকে খবর দিতে হবে বলেও জানান এলাকার সচেতনমহল।