মেহেরপুর অফিস: ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রায় ১১ বছর পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর শেখ পাড়া গ্রামের আশরাফুজ্জামান ওরফে আলিহীম বাদী হয়ে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সদর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলামসহ মোট ৫১ জনকে আসামি করা হয়েছে। মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক শারমিন নাহার মামলাটি এফআইআর’র আদেশ দিয়েছেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআরভুক্ত করার নির্দেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী জেলহার হোসেন, কাওছার আলী, মিলন শেখ, ওমর আলী, মামুন শেখ, সিরাজ মিয়া, হিয়া শেখ, শফিকুল ইসলাম, ইন্তু মিয়া, রিন্টু মিয়া, মামুন কারিকর, শামিম রেজা, আবু রাসেলসহ অন্যান্যারা।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ‘২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাতের বেলায় হঠাৎ বাড়িতে আক্রমন করে। বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে আমি, আমার স্ত্রী সন্তান, বাবা মাকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এসময় তারা বাড়িতে লোহার ফটকটি ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র সব নিয়ে যায়। ঘরের দরজা জানালার লোহার গ্রিল ভেঙে নিয়ে যায়। আলমারি ভেঙে নগদ টাকাসহ মুল্যবান স্বর্ণের গয়না নিয়ে যায়। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে থানা এ ব্যাপারে কোন মামলা নেয়নি। দীর্ঘদিন থেকে তারা নানা অজুহাতে হয়রানি, মামলা করে আসছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য নিজের বাড়িতে অবস্থান করা সম্ভব হয়নি। এমনকি বাড়ির গরু ছাগল, হাঁস মুরগীও ছাড় পায়নি। যাওয়ার সময় লেপ তোশক, আসবাবপত্র, পোশাক আশাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলা আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.