মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে শুক্রবার মৃত্যুবরণকারী কোলা গ্রামের সেই মোটরশ্রমিক লিটু মিয়া (৪৭) কোভিড-১৯ পজিটিভ। একই সাথে তার স্ত্রী, দুই ছেলেসহ পরিবারের চারজন সংক্রমিত হয়েছেন। এছাড়াও গেলো ২৪ ঘন্টায় এক পুলিশ সদস্যসহ আরো দুইজন কোভিড-১৯ পজিটিভ। এ নিয়ে গতকাল শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কোলা গ্রামের লিটু মিয়া ঢাকায় বাস শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে স্বাভাবিক চলাফেরা করছিলেন তিনি। গেলো বৃহস্পতিবার সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে পরিবারের লোকজন তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিনই তার নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসা শুরু হয়। শুক্রবার সকালে আইসোলেশন ইউনিটে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তার মৃত্যু হয়। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস বলেন, মৃত্যুবরণকারী মোটর শ্রমিকের বাড়ি লকডাউন করে তার পরিবারের কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে তার স্ত্রী, দুই ছেলে, ছেলের স্ত্রী কোডিভ-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
এছাড়াও ঢাকা ফেরত মেহেরপুর শহরের তাঁতিপাড়ার এক নারী ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত এক ওয়াচার কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ওই পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে কাজ করতেন। তিনি করোনাভাইরাস বিষয়ে কাজ করার জন্য নিয়োজিত ছিলেন। কাজের মধ্যে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেল পূর্ব ২৪ ঘন্টায় সাতজন আক্রান্ত শনাক্তের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫। এর মধ্যে দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৫ জন এবং বাকিরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।