মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে সত্তর দশকের মুরুব্বিদের নিয়ে চড়ুইভাতি ও মুরুব্বি মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে চকশ্যামনগর ক্লাব প্রাঙ্গণে গ্রামবাসীর উদ্যোগে চড়ুইভাতিও মুরুব্বিদের মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের প্রবাসী ও গ্রামবাসীর তরুণ প্রজন্মের আয়োজনে এ মেলায় অংশগ্রহণ করে ওই গ্রামের প্রায় দেড়শতাধিক মুরুব্বি। গ্রামের মুরুব্বিরা কেউ লাঠিতে ভর করে, কেউ ইজিবাইকে, কেউবা বাইক চালিয়ে মিলন মেলায় অংশগ্রহণ করেন। মিলন মেলায় অংশগ্রহণ করতে হরেক রঙের বাহারি সেজে কেউ লাঠির উপর ভর করে, কেও বন্ধুর কাঁধে ভর করে ইজিবাইকে করে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় গ্রামের মাঠ নানা রঙের বাহারি দিয়ে সাজানো হয়, মুরুব্বিদের মিলন মেলায় অংশগ্রহণ করতে আশায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানান স্থানীয়রা। সকালে তাদের নাস্তায় দেয়া হয় চিড়া, দই, গুড় ও মিষ্টির নাস্তা। দুপুরে সাদা ভাত, খাসির মাংস, সবজি, ডাল, কমল পানি ও দই মিষ্টি। চার বছর ধরে এই আয়োজন করে থাকে চকশ্যামনগর গ্রামবাসীরা। সকালে প্রথম পর্বে মিলন মেলায় শুভসূচনায় আয়োজকের মধ্যে বক্তব্য দেন নাসির উদ্দিন, শুকুর আলীসহ কয়েকজন। এরপর উন্মুক্ত আলোচনায় কে কেমন আছেন, শিশুকাল, যুবককাল ও বর্তমান কাল নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন মুরুব্বিরা। ২য় পর্বে বালিশ ছোড়া, হাড়িভাঙ্গা, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং সন্ধ্যায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ওয়াজ মাহফিলের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। গ্রামের উত্তর পাড়া থেকে লাঠিতে ভর করে মেলায় আসা সামসুল ইসলাম বলেন, বয়সের ভারে চলতে পারি না। তারপরেও সমবয়সীদের মিলনমেলায় হাজির হওয়ার জন্য লাঠিতে ভর করে চলে আসি। দেখা হয় ছোটবেলার সাথিদের সাথে। ক্ষণিকের জন্য হলেও মনে হয় সেই ছোটবেলায় ফিরে গেছি। এ ধরনের আয়োজন করার জন্য গ্রামবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এই প্রবীণ। আয়োজক শিক্ষক শুকুর আলী জানান, মানুষের বয়স হলে অবহেলা আর অনাদরে কাটে। তাদের একটি দিনের জন্য হাসিমুখ দেখতে, প্রবীণদের একাকিত্ব দূর করতেই গত ৪ বছর ধরে বছরে একবার এমন আয়োজন করা হয়। এ ধরণের আয়োজন ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.