মুজিবনগর প্রতিনিধি: গরু ও ছাগলের চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও অপেক্ষার শিকার হচ্ছেন মুজিবনগর উপজেলাবাসী। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও মিলছে না গবাদী পশুর সুচিকিৎসা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতাল অফিস খোলা থাকলেও নেই কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাই রোগাক্রান্ত গরু-ছাগল নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা খামারি ও সৌখিন গবাদী পশু পালনকারীদের। তবে লোকবলের অর্ধেক নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে এ প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেনারি হাসপাতালে বলে জানালেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
মুজিবনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেনারি হাসপাতাল চিকিৎসা নিতে আসা আল আমিন হোসেন বলেন, আমি সকাল ৯টায় আমার গরু নিয়ে ভেটেরিনারি হাসপাতালে এসেছি। এখানে এসে দেখি আমার গরুর চিকিৎসা দেয়ার কোনো ডাক্তার বা অন্য কোনো লোক নেই। অফিসে ঢুকে দেখি একজন অফিস সহকারী কম্পিউটারে অফিসিয়াল কাজ করছেন। পুরো অফিসে মাত্র দুইজন লোক আছেন। আমার গরুর চিকিৎসার কথা বললে জবাবে তিনি বলেন অপেক্ষা করেন; ডাক্টার এলে চিকিৎসা দেবেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ১১টার দিকে দু’জন ব্যক্তি অফিসে ঢোকেন। তখন আমরা উনাদের কাছে গিয়ে গরুর কথা বললে তাড়াহুড়ো করে গরু দেখে চলে যান। আমাদের দাবি মুজিবনগরের মতো জায়গাতে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে অন্যান্য জায়গায় কি অবস্থা হচ্ছে ?
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে আজ (২০সেপ্টেম্বর) ১১ টার একটু আগে অফিসে এসেছি। অন্যসব কর্মকর্তার বিষয় বা স্টাফদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কেন অফিস টাইমে তারা অফিসে আসেনি সে বিষয়টি আমি দেখছি। তবে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (প্রাণিস্বাস্থ্য) খালেকুজ্জামানের নিকটাত্মীয় আজ (২০ সেপ্টেম্বর) মৃত্যুবরণ করায় আমার কাছে মোবাইলে ছুটি নিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, রাজস্ব খাতের মোট ৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিপরীতে ৪ জন অফিসে বিভিন্ন পদে কর্মরত আছেন। এনএটিপি-২ প্রকল্পের একজন ডাক্তার ছিলেন। তিনি বদলি হয়ে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। আরেকজন এলডিডিপি প্রকল্পের ডাক্তার তানিয়া আক্তার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। এ জন্যই হয়তো একটু সমস্যা হচ্ছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ