চুয়াডাঙ্গায় করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে জেলা পর্যায়ের কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করে সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে। অফিস, দোকানপাট ও শপিংমল এবং গণপরিবহন চালুর কারণে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ চলবেন না। মাস্ক ছাড়া কেউ বাজারে এলে তার কাছে পণ্য বিক্রি করবেন না। আমরা অনেক এফেক্টেট। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজ থেকে কেউ সচেতন না হলে আইন প্রয়োগ করে হবে।’
গতকাল রোববার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত জেলা পর্যায়ের কমিটির করণীয় সম্পর্কিত সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এসব কথা বলেছেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সেনাবাহিনীর চুয়াডাঙ্গাস্থ অধিনায়ক লে. কর্ণেল আসিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, সিভিল সার্জন ডা.এএসএম মারুফ হাসান, অধ্যক্ষ (অব.) এসএম ই¯্রাফিল, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দ্দার, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মইনুদ্দিন মুক্তা, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার টোকন, জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান খোকন, নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মিজাইল হোসেন জোয়ার্দ্দার, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রিপন ম-লসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমল বেলা ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সীমিত আকারে শর্ত সাপেক্ষে খোলা রাখার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। তবে, খাবার হোটেল সকাল ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সীমিত আকারে খোলার রাখা হবে। নির্ধারিত সময়ের পর হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরো বলেন, অনিয়ম পেলে জরিমানা করা হবে। আপনারা অনিয়ম করবেন না। সরকারি সিদ্ধান্তের ভেতরে থাকতে হবে। সরকারের সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি শতভাগ সম্মান দেখানো উচিত। অনিয়ম না করলে জরিমানা হবে না। জরিমানা করতে ভালো লাগে না। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। মানুষকে নিরুৎসাহী করতে হবে।
সিভিল সার্জন ডা: এএসএম মারুফ হাসান বলেন, গত ১৬ মার্চ জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত রোগী পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত ৯০ জন করোনা শনাক্ত রোগী পাওয়া গেছে। একজন শনাক্ত হওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করেছে। ৩১ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছে। মসজিদে কেউ কেউ মাস্ক ছাড়াই যাচ্ছেন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনা জুন মাসের মাঝামাঝি পিক আওয়ার। সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে করোনার জন্য ১৫০ শয্যা এবং পুরাতন ভবনে ২০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কেউ হাসপাতালে এলে অবশ্যই মাস্ক পরিহিত অবস্থায় আসতে হবে। ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়তে পারে। সেদিকেও সতর্ক থাকতে হবে।