মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সংরক্ষনের অপরাধে ৪ জনকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: মাদকের আকড়া নামে খ্যাত আলমডাঙ্গার রেল ষ্টেশন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সংরক্ষনের অপরাধে ৪ জনকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৭ জুন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ¯িœগ্ধা দাস ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
জানা গেছে: আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার ষ্টেশনপাড়ার মৃত আক্কেল আলীর মেয়ে মুন্নি (৪৭), নিজাম আলির মেয়ে লিজা খাতুন (২২), মৃত খলিলুরের ছেলে খাইরুল (৪৬) এবং রেজাউল ইসলামের ছেলে রুবেল (২৬) দীর্ঘদিন ধরে আলমডাঙ্গা রেল ষ্টেশন এলাকায় মাদক দ্রব্য বিক্রয় করে আসছে। আলমডাঙ্গা রেল ষ্টেশন এলাকায় কয়েক বছর আগেও মাদকের স্বর্গরাজ্য ছিল। সকল প্রকার মাদক দ্রব্য বিক্রয় করা হত ষ্টেশন এলাকায়। মাঝে কিছুটা কম থাকলেও আবার বেশ কিছুদিন ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে বাজারে বিক্রয় নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রয়। মাদক বিক্রয় হওয়ার কারণে শহরের চুরির উৎপাত বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর আলমডাঙ্গার রেল ষ্টেশন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। তারা আলমডাঙ্গা রেল ষ্টেশন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী এক সময়ের মাদক স¤্রাগী মুন্নি, তার ছেলে রুবেল ও ছেলে স্ত্রী লিজা এবং খাইরুলকে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করে।
আটকের পরে বিষয়টি আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাসকে অবহিত কররেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ৯ এর (ক), (খ),(গ) ৩৬ এর(১)এর সারণী ২১ ধারায় প্রত্যেককে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদ- ও ২০০ টাকা করে অর্থদ- করেন।
এ সময় তিনি উপস্থিত সাধারন মানুষকে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করেন এবং উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব সকলের সামনে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More