মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সকলকে কর্তব্যপরায়ন হওয়ার আহ্বান
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে চুয়াডাঙ্গায় কর্মশালা
স্টাফ রিপোর্টার: দেশের উন্নয়নে সরকার একের পর এক বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে, হচ্ছে। দেশে মাদক একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় নির্ধরণে তৃণমূল পর্যায়ের মতামত নেয়ার জন্যই কর্মশালার আয়োজন করেছে। এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মতামমতের ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে দেশ থেকে মাদক উচ্ছেদ সম্ভব হবে বলে আমাদের বিশ^াস।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোর লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জেলা পর্যায়ে কর্মশালা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান উপরোক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষে কর্তব্যপরায়ন হওয়া এখন খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব. বিজিবিসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল সংস্থা মাদকের নিয়ন্ত্রনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের তরফেও অভিযান চালানো হয়। এরপরও প্রত্যাশিত সফলতার লক্ষে কর্মপরিকল্পনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগকে আমারা সাধুবাদ জানিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে যে অভিমত দেবো, তা বিশ্লেষন করে সরকার আগামী দিনে কর্মসূচি হাতে নেবে, করনীয় নির্দেশনা দেবে। মাদক এমন এক অভিশাপ। কোন এক পরিবারের একজন সদস্য মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে পুরো পরিবারকেই বসতে হয় পথে। অসংখ্য মেধাবী, দক্ষ পেশাজীবীকে মাদকের কবলে পড়ে অকালে ঝরে পড়তে হয়েছে, হচ্ছে। আমরা সম্মিলিতভাবে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে অবশ্যই মাদক মুক্ত সমাজ গঠন করতে সক্ষম হবো।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরাফাত রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কু-, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিছুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলার বিজ্ঞ পিপি অ্যাড. বেলাল হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চুয়াডাঙ্গা উপ পরিচালক মো. শরিয়তউল্লাহ। মতমত দেন জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধান, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ অনেকে। পরে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে লিখিত কর্মপরিকল্পনার প্রস্তাবনা দেয়া হয়। এর আগে তথ্যচিত্র তুলে ধরা হয়।