চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মাদকবিরোধী অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকসহ আটক তিনজনকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মাদক সম্রাজ্ঞী শিপরার বাড়ি থেকে মাদক ও মাদক বিক্রির টাকা জব্দ করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। সাজাপ্রাপ্ত তিনজন হলো চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি নতুনপাড়ার মৃত সোহেল আলীর ছেলে রাজিব হোসেন (২৩), বুজরুকগড়গড়ি বুদ্ধিমানপাড়ার পুটে মণ্ডলের ছেলে জাহিদ হোসেন (২৫) ও একই এলাকার মৃত জব্বার ম-লের ছেলে আব্দুল বারেক (৭০)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম তারিক উজ্জামানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরীয়ত উল্লাহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি নতুনপাড়ায় অভিযান চালান। এ সময় ওই এলাকার রাজিব হোসেনকে নিজবাড়ি থেকে ১০ লিটার তাড়িসহ আটক করা হয়। সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে তিন মাসের কারাদ- ও একশ টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে বুজরুকগড়গড়ি বুদ্ধিমানপাড়ায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় একই এলাকার জাহিদ হোসেন ও আব্দুল বারেককে। এ সময় জাহিদের কাছ থেকে ১০ গ্রাম ও আব্দুল বারেকের কাছ থেকে ৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জাহিদ হোসেনকে তিন মাসের কারাদ- ও আব্দুল বারেককে ৬ মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। একইসাথে দুজনকে পঞ্চাশ টাকা করে অর্থদণ্ড ও করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম তারিক উজ্জামান। পরে একই টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালান ওই এলাকার মাদক সম্রাজ্ঞী শিপরার বাড়িতে। অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে পালিয়ে যায় শিপরার স্বামী বাবুল আক্তার। পরে বাড়ি তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ৮৫ পিস ইয়াবা, এক কেজি ৮শ’ গ্রাম গাঁজা ও মাদক বিক্রির ৭১ হাজার ৩৩০ টাকা। শিপরা জেলে থাকলেও তার স্বামী বাবুল মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলো বলে জানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। গতকালই বাবুল আক্তারকে পলাতক দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় ও সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।