জীবননগর ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় অশনি’র কারণে অতিবৃষ্টিতে জীবননগর উপজেলার বিস্তৃর্ণ বোরো ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে ধান কলিয়ে গেছে এবং পানির নিচে তলিয়া থাকা ধান পঁচতে শুরু করেছে। মাঠের বাতাস এখন ধান পচার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে শ্রমিক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফলে বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নষ্ট এবং কলিয়ে যাওয়া ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় এবার ৭ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়। ধান কাটার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় অশনি সব ল–ভ- করে দিয়ে গেছে। ঝড়ের কারণে ক্ষেতে ধান গাছ নুয়ে পড়ে এবং ৩ দিনের টানা মুষল ধারের বৃষ্টিতে ওই ধান পানিয়ে তলিয়ে যায়। এছাড়াও অনেক কৃষক মাঠে ধান কেটে রেখেছিলো। ওই ধানও পানিতে ডুবে যায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষক ক্ষেত হতে সময় মতো ধান তুলতে ব্যর্থ হয়। ফলে ধান কলিয়ে আবার গাছ বেরিয়ে গেছে এবং যে সকল ক্ষেত হতে এখনো ধান সংগ্রহ করা যায়নি ওইসব ক্ষেতের ধান পঁচে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে ৪০ ভাগ ধান ক্ষতির সম্মুখীন’ কিন্তু সরেজমিনে পরিদর্শনকালে কৃষকরা জানিয়েছেন ক্ষতির পরিবার আরও বেশি।
উপজেলার নুতন তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান জানান, তার ৫ বিঘা ধান পানিতে তলিয়ে ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেতেই ধান কলিয়ে গেছে। ধান পচে বাতাসে গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ওই ধান সংগ্রহ করে তা থেকে কিছু পাওয়ার আশায় মাড়াই করে দেখা হচ্ছে। একই গ্রামের আবু সিদ্দিক জানান ৭ বিঘা জমি হতে তিনি এক ছটাক ধানও নিয়ে আসতে পারেনি। ফলে তিনি মারাত্মকভাবে খাদ্য ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এমন পরিস্থিতি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ