আলমডাঙ্গা ব্যুরোঃ গত ২৩ এপ্রিল স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম মাহমুদুল হাসান রবি। তিনি ঢাকার মিরপুরের প্যারিস রোডের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। গতকাল সকাল ১০ গার্ড অব অনার শেষে হারদী পুরাতন জামে মসজিদের সামনে পারিবারিক গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লাশ দাফন করা হয়।
ছোটভাই এবিএম মোমিনুল হাসান ঢাকার গাজীপুরে অবস্থান করতেন। পেশায় ছিলেন ঠিকাদার। সম্প্রতি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গতকাল ২৪ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মরহুমের লাশ রাত ১ টার দিকে হারদী গ্রামে পৌঁছতে পারে। রাতেই লাশ দাফন করা হবে। মরহুমের লাশ দাফনের জন্য আনজুমান- এ মফিদুলের করোনা টিম রাতেই হারদী গ্রামে পৌঁছেছেন।
হারদী গ্রামের বড়বাড়ির মৃত আলফাজ শেখের বড় ছেলে ছিলেন এবিএম মাহমুদুল হাসান রবি। এবিএম মোমিনুল হাসান ছিলেন মেজ ছেলে।
পর পর দুদিনে দুভাইয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে। পরিবার ও নিকট আত্মীয়ের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
আলমডাঙ্গা ব্যুরোঃ গার্ড অব অনার শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম মাহমুদুল হাসান রবি। তিনি গত ২৩ এপ্রিল ঢাকার মিরপুরের প্যারিস রোডের বাড়িতে আকস্মিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
গতকাল সকাল ১০ টায় জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন কবীর ও আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর। গার্ড অব অনার শেষে হারদী পুরাতন জামে মসজিদের সামনে পারিবারিক গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লাশ দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত,হারদী গ্রামের বড়বাড়ির মৃত আলফাজ শেখের বড় ছেলে এবিএম মাহমুদুল হাসান রবি পড়ালেখা শেষে ১৯৭৩ সালে বিসিএস ক্যাডারে চাকরী জীবনে প্রবেশ করেন। পরবর্তিতে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ছিলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক শাখায় উপসচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তাছাড়া , তিনি পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্লানিং মেম্বর ছিলেন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি অসামান্য অবদান রাখেন। তিনি ৮ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।