স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার কৃষ্ণপুরের গরুব্যবসায়ী সাবের আলী মোল্লার ব্যবসার প্রায় পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশমী গ্রামের মগরব মল্লিক। দীর্ঘদিন ধরে টাকা পরিশোধের কথা বললেও মাত্র এক লাখ ১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে এখন বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার বৈঠক বসলেও টাকা ফেরত না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন গরুব্যবসায়ী সাবের আলী মোল্লা। টাকার কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা বন্ধ করে তিনি বাড়ি বসে আছেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের নিয়ামত মোল্লার ছেলে সাবের আলী মোল্লা একজন গরুব্যবসায়ী। বছর দেড়েক আগে তার গরু কেনাবেচার সহযোগিতা শুরু করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দশমী দিঘিরপাড়ার কানাই মল্লিকের ছেলে মগরব মল্লিক। সাবের আলী মোল্লা সরল বিশ্বাসে তার হাতে টাকা দিতেন গরু বেচাকেনার জন্য। এক পর্যায়ে গত বছর মগরব তার ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য সাবের আলী মোল্লার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার এবং হাটে গরু কেনাবেচার জন্য প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হাটঘাট বন্ধ করে দেন। এতে চরম বিপাকে পড়েন সাবের আলী মোল্লা। বারবার টাকার তাগিদ দিয়েও টাকা দেন না মগরব। টাকার অভাবে সাবের আলী মোল্লার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত বছরের ২৮ জুলাই এ নিয়ে দশমীর গরুব্যবসায়ী বোরহানের দশমাইল বাজারের দোকানে সালিস বসে। সেখানে হিসাব নিকাশ হয়। এসময় সাবের আলী মোল্লার ৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা পাওনা হয়। শিগগিরই টাকা দিয়ে দেবেন বলে অঙ্গীকার করেন মগরব মল্লিক। কিন্তু কিছুদিন পর মাত্র এক লাখ টাকা দিয়ে বারবার ঘোরাতে থাকেন। সর্বশেষ মাসখানেক আগে আরও ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। এখনো ৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা পান সাবের আলী মোল্লা। এ ব্যাপারে মগরবের গ্রামের মেছের আলীর ছেলে গরুব্যবসায়ী হাসান, আলমডাঙ্গার কৃষ্ণপুর গ্রামের হারেজ আলীর ছেলে গরুব্যবসায়ী সন্টু, একই গ্রামের নিফাজ উদ্দিনের ছেলে গরুব্যবসায়ী মামুন, মৃত খেজমত আলী বিশ্বাসের ছেলে জিনারুল, মৃত শাকের ম-লের ছেলে পান্নু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ‘এ নিয়ে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু মগরব টাকা দিতে চেয়েও বারবার ঘোরাচ্ছেন।’ এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মগরব মল্লিক টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে এই প্রতিবেদককে মোবাইলফোনে বলেন, ‘টাকা নিয়েছি দিয়ে দেবো। তবে মাসে ৫ হাজার করে দেব।’ এ ব্যাপারে পাওনাদার সাবের আলী মোল্লা বলেন, মগরব আমার অনেক ক্ষতি করেছেন। তাকে বিশ্বাস করে তার হাতে ব্যবসার টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার টাকা আত্মসাৎ করে এখন বাড়িতে মুরগির খামারসহ দোকান দিয়েছেন। অথচ আমার টাকা দেয়ার নাম নেই। মাসে মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলা মানে টাকা না দেয়ার টালবাহানা। উনি যদি আমার টাকা সহজে না দেন তাহলে আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’