বিশ্বমানের মানুষ তৈরিতে জেলা প্রশাসকের গুরুত্বারোপ

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী

স্টাফ রিপোর্টার: ‘আন্তরিকভাবে পাঠদানের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। লেখাপড়া যাতে আনন্দদায়ক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমান কারিকুলাম প্রতিযোগিতামূলক নয় সহযোগিতামূলক। এসব বিষয় মাথায় রেখে বিশ্বমানের মানুষ তৈরি করতে হবে। আপনারা প্রতিষ্ঠান প্রধান। তাই অন্যান্য শিক্ষকের চেয়ে আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। প্রশিক্ষণ থেকে যা ধারণ করলেন তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।’ কথাগুলো বলেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। তিনি গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ ২০২২ বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান। চুয়াডাঙ্গা জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণের অংশগ্রহণে ১২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের গতকাল রোববার ছিলো সমাপনী দিন। জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ গত ২৯ মার্চ শুরু হয়। তিনটি ব্যাচে ৪দিন করে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ প্রথম ব্যাচে অংশ নেন। এতে দামুড়হুদা উপজেলার ৩০ এবং জীবননগর উপজেলার ৩২ জন অংশ নেন। প্রশিক্ষণে ২য় ব্যাচে ২ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল ৬১ জন প্রশিক্ষণ নেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৪৫, দামুড়হুদা উপজেলার ১৪ এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার দুজন। প্রশিক্ষণে ৩য় ও শেষ ব্যাচে আলমডাঙ্গা উপজেলার ৬২ ও সদর উপজেলার একজন অংশগ্রহণ করেন। এ প্রশিক্ষণ শুরু হয় ৬ এপ্রিল থেকে। জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলে। গতকাল রোববার প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষাণার্থী শিক্ষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলি মাস্টার ও এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষণের জেলা কোঅর্ডিনেটর এসএম হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রশিক্ষক যশোর টিটিসির প্রভাষক কাউছার আলী, আলমডাঙ্গা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. ইমরুল হক। রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বর্তমান কারিকুলাম যুগোপযোগী হিসেবে প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা আন্তরিকভাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করলে আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা হবে।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More