প্রায় ২৫ হাজার টাকা খোয়ালেন বিধবা ছিয়ারন
আসমানখালী প্রতিনিধি: বিধবা ভাতার টাকা দেয়ার কথা বলে বিধবা নারীর টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক। বিধবা ভাতা কার্ডের ৯ মাসের টাকা একসাথে দেয়ার কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে দু’দফায় প্রায় ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় প্রতারক। টাকা পাঠানোর পরপরই ওই প্রতারকের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে বোঝা যায় তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের মোচাইনগর গ্রামের মৃত মুনছুর আলীর স্ত্রী ছিয়ারন নেছার মোবাইলে গতকাল শনিবার ফোন করে এক ব্যক্তি। তাকে চাচি বলে ডেকে তার সন্তানাদি কতজন তা জানতে চায় ওই প্রতারক। এ সময় ছিয়ারন নেছার বিধবা ভাতা কার্ডের ৯ মাসের টাকা একমোটে দেয়ারও কথা বলে। সেই টাকা পাঠানোর জন্য গতকালই তাকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বলা হয়।
প্রতারণার শিকার ছিয়ারন নেছা বলেন, আমার মোবাইলে এখনই অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে বলে এবং তারা একটি নম্বর দেবে সেটা খাতায় লিখে নিয়ে বিকাশের দোকানে যেতে হবে। আমি মোবাইল সম্পর্কে না বোঝার কারণে প্রতিবেশী মোহাম্মদ মুনসুর হোসেনের মেয়ে অনি খাতুনের সাথে মোবাইলে কথা বলিয়ে দিই। কথা শেষে অনি আমাকে জানায়, এখনই আমার মোবাইলে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। মোবাইলের সিমে লটারির মাধ্যমে আমি এক লাখ টাকা পেয়েছি। এ কথা আর কারও সাথে বলতে নিষেধ করে দেয় ওই প্রতারক।
এ বিষয়ে অনি খাতুন বলেন, গ্রামের কোনো দোকানে অ্যাকাউন্ট খোলা না হওয়ায় দুজনে আসমানখালী বাজারে যায়। এসময় ওই ব্যক্তির সাথে কথা বললে তিনি প্রথমে ০১৭৯৩-৭৮৬৯১৫ নম্বর দিয়ে ৯ হাজার ১৮০ টাকা বিকাশ করতে বলেন। ওই টাকা পাঠানোর সাথেসাথেই আমাদের ফোনে একবারে পুরো টাকার এসএমএস চলে আসবে। আমরা তার কথামত বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে টাকা বিকাশ করি। কোন এসএমএস না আসায় তাকে ফোন করে বলি। তখন তিনি বলেন, নেটের সমস্যা হতে পারে। একই নম্বরে আরও ১৫ হাজার ৩শ’ টাকা বিকাশ করে দেয়ার দুই মিনিটের মধ্যে আমাদের টাকা চলে আসবে। কিন্তু বিষয়টি কাউকে জানানো যাবে না। তাহলে টাকা পাওয়া যাবে না। অনি খাতুন আরও বলেন, তার কথামতো আমরা পুনরায় বিকাশে টাকা পাঠায়। দু’বারে মোট ২৪ হাজার ৪৮০ টাকা পাঠিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি। কিছুক্ষণ পর তার মোবাইলে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আমি বিষয়টি ওই দোকানের মালিককে জানায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে বাজারে মানুষ জমে যায়। বিকেলে বাড়ি ফিরে প্রতারণার শিকার হয়ে খোয়া যাওয়া বিকাশ এজেন্টের ২৪ হাজার ৪৮০ টাকা ফেরত দেন ছিয়ারন নেছা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ