মাথাভাঙ্গা মনিটর: বাজেটে ঘোষণার পর এনবিআর এসআরও জারি করায় মোবাইল সেবায় বাড়তি হারে সম্পূরক শুল্ক কাটা শুরু করেছে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই বাড়তি টাকা কাটা শুরু হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন,এবার পেশকৃত বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের কথা বলা হয়। এর ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা,এসএমএস পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার তা আরও বাড়ল। প্রথমবার মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয় ২০১৫-১৬ সালের বাজেটে। তখন ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব হলেও পরে তা ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল। মোবাইল ফোন অপারেটররা বলছে,এর ফলে বর্তমানে সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১ শতাংশ সারচার্জ,১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর মিলে মোট কর ৩৩.২৫ শতাংশে দাঁড়াল।
সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১০০ টাকা খরচ করে ৭৫ দশমিক শূন্য ৩ টাকার সেবা মিলবে। ২৪ দশমিক ৯৭ টাকা যাবে সরকারের পকেটে। মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেন,বাজেট প্রস্তাবের পর এনবিআর এসআরও জারি করায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই মোবাইল সেবায় বাড়তি সম্পূরক শুল্কের ভিত্তিতে টাকা কাটছে মোবাইল অপারেটরগুলো। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকেই নতুন হারে টাকা কাটা শুরু হয়েছে বলে রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলমও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে যখন মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইলনির্ভর হয়ে পড়েছে, সেই সময় মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবে হতাশা জানিয়ে তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন এই খাত সংশ্লিষ্টরা।