বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোসহীন নেতা : অন্যায়ের কাছে কখন তিনি মাথানত করেননি
চুয়াডাঙ্গায় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার
স্টাফ রিপোর্টার: বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেছেন, বাঙালির মহাজাগরণের পথিকৃৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অকুতোভয়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোসহীন নেতা। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনও মাথানত করেননি। বঙ্গবন্ধু তার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে গেছেন। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। তার রাজনীতির মূল দর্শন বাঙালির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন এবং বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ৬৯ এর ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি এবং ৭২ এর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির জন্য দুইটি মাইলফলক। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন। তিনি বাঙালি জাতিকে দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে মুক্ত করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি নজমুল হেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ। সাহিত্য ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিচারকম-লীতে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান খোন্দকার রোকনুজ্জামান, আনছার আলী, সুমন ইকবাল, রিচার্ড রহমান, আহাদ আলী মোল্লা, হোসেন মোহাম্মদ ফারুক, খন্দকার রাবেয়া আক্তার রাবু, আবু নাসিফ খলিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম মাস্টার, হুমায়ুন কবীর প্রমুখ। এই প্রতিযোগিতায় ৭টি ইভেন্টে ৪২জন প্রতিযোগিকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন গেলাম কবীর মুকুল, সুমন ইকবাল, হোসেন জাকির, শিরোনাম মেহেদী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বঙ্গবন্ধুকে নিবেদন করে একটা কবিতা আবৃত্তি করেন এবং সাহিত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানান। এর আগে সকাল ৯টায় সাহিত্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বিকেলে আলোচনাসভা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।