পাচারকারীর কোমরে মিললো পৌনে ৪ কোটি টাকার সোনা
দামুড়হুদার ছয়ঘরিয়া গ্রামে বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযান
দর্শনা অফিস: কোমরে পরা লাল কাপড়ের বেল্ট থেকে প্রায় তিন কেজি ওজনের সোনার বারসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি। আটককৃত সোনার বাজার মূল্য তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অবৈধভাবে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে সোনার বারগুলো সীমান্তে নেয়া হচ্ছিলো। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিবির টহল দল ছয়ঘরিয়া প্রাইমারি স্কুলের সামনে থেকে সোনার বারসহ পাচারকারীকে আটক করে। আটককৃত সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা তেজারি অফিসে জমা রাখা হবে। আটক পাচারকারীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। আটক সোনা পাচারকারী দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আফসার আলী (২৮)। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সোনার একটি চালান সুলতানপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচার হতে পারে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের বিশেষ টহলদল সীমান্ত মেইন পিলার ৭৭/৬-আর হতে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে ছয়ঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রাস্তার পাশে অবস্থান নেয়। তিনি আরও জানান, এরপর আনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি টহলদল সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেলযোগে ওই এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে আটক করে। পরে আটক ব্যক্তির শরীর তল্লাশি করে তার কোমরে বাঁধা একটি লাল কাপড়ের বেল্টের ভেতর থেকে আনুমানিক ৩ কেজি ৬ গ্রাম ওজনের ছোট-বড় ১৬টি সোনার বার এবং ১৪টি ছোট টুকরা জব্দ করা হয়। জব্দ করা সোনার বর্তমান বাজারমূল্য ৩ কোটি ৭৮ লাখ ১৬ হাজার ২০০ টাকা। এ ব্যাপারে দর্শনা থানায় মামলা ও জব্দ করা সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা করা হবে বলে জানান নাজমুল হাসান। চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে সীমান্ত এলাকায়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.