স্টাফ রিপোর্টার: এসএসসি ও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ রোববার। প্রথমদিন নয়টি সাধারণ বোর্ডে বাংলা প্রথমপত্র, কারিগরিতে বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীনে কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। গতবারের চেয়ে এবার ৫০ হাজার ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী বেশি। ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এর মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল থেকে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেসবুক ও মোবাইল লেনদেনে নজরদারিও শুরু করেছে বিটিআরসি।
চুয়াডাঙ্গায় এবার ১৩ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার কথা রয়েছে। এরমধ্যে এসএসসিতে ১০ হাজার ৬৭৫ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এক হাজার ৪৯৩ জন এবং দাখিল পরীক্ষায় ৯৮৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করার কথা রয়েছে। এরমধ্যে এসএসসিতে চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (ভি.জে) কেন্দ্রে এক হাজার ১২ জন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার ১৪৪, সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৫৫, ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭০০, আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬২১, আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এক হাজার ৩১৩, মুন্সিগঞ্জ একাডেমি ও মুন্সিগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৩১, হাটবোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও হাটবোয়ালিয়া বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৮৬, দামুড়হুদা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৬৬, দামুড়হুদা পাইলট গার্লস হাইস্কুল কেন্দ্রে ৫০৫, মেমনগর বিডি হাইস্কুলে ও দর্শনা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৯৬, কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ ও কার্পাসডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৩৪, জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০৭, জীবননগর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৫৫, আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে, হাসাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হাসাদাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩০৩, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ২২৬ কেন্দ্রে মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৪৮ জন পরীক্ষর্থী। ভোকেশনালে চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৩৯০, সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৬৪, আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৯২, নিপ্পন জোহা টেকনিক্যাল স্কুল কেন্দ্রে ২১, দামুড়হুদা পাইলট গার্লস হাইস্কুল কেন্দ্রে ২৮২, জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০৯, জীবননগর থানা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২৫, জীবননগর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ১০। দাখিল পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২৬৬, আলমডাঙ্গা আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ২৭৪, কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২১৬, জীবননগর আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ২২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জেলার সকল পরীক্ষার্থীর সাফল্য কামনা করে বলেছেন, পরীক্ষাসমূহ শুরু থেকে সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জেলার সকল কেন্দ্রের সকল সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। এদের শিক্ষাগ্রহণে আন্তরিক করতে সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ছাড়া অনাকাক্সিক্ষত কোন ব্যক্তি প্রবেশ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। গতবারের চেয়ে এবার ৫০ হাজার ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী বেশি। ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এবারও সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে হবে পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায়। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পর কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলে সেই পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ ইত্যাদি তথ্য একটি রেজিস্ট্রারে লিখে রাখতে হবে। পরীক্ষার দিনই সেসব তথ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। নিয়মানুযায়ী, ট্রেজারি বা থানা থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সব সেট পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো হবে। তারপর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে খুদে বার্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে কোন সেটে সেদিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তা (কোড জানানো হয়) জানিয়ে দেয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া আর কেউ মোবাইল ফোন কিংবা ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। ছবি তোলা যায় না, এমন একটি সাধারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন কেন্দ্র সচিব। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া কেউ কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষ্যে ২৬ এপ্রিল থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। আগামী ২৩ মে এসএসসি এবং এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে। আর দাখিল লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৫ মে।