স্টাফ রিপোর্টার: বাড়ির আশ-পাশসহ আবাদ উপযোগী সকল জমিতে ফসল ফলানোর পুনঃপুনঃ তাগিদ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিতসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন কোনো জমি পতিত রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আবাদের আওতায় নিয়ে খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে পতিত জমি আবাদের আওতায় নেয়ার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি গঠন করে বাস্তবমুখি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান আরও বলেন, যখন যে ফসলের জন্য বীজ প্রয়োজন, তখন সরকার বিএডিসির মাধ্যমে সরবরাহ নিশ্চিত করছে। তৃণমূল কৃষকদের মাঝে যথাসময়ে সারও সরবরাহ করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারাও কাজ করছেন। এরপও আবাদি জমি পতিত থাকবে কেন। চুয়াডাঙ্গার মাটি খুবই ঊর্বর। কৃষককূলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মাঠভরা ফসলও হচ্ছে। সকলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করলে বাড়ির আশে পাশে কিম্বা সরকারি কোনো স্থাপনার নিকট পতিত জমিতেও আবাদ করে খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখা সম্ভব। এ লক্ষে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সচেতন কৃষক সাংবাদিকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিভাষ চন্দ্র সাহা গতসভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ ও তার বাস্তবায়নের বিষয়ে উপস্থাপনের পর পর্যায়ক্রমে আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন। সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক উপস্থিত সদস্যদের মতামতের প্রেক্ষিতে সার ও বীজ সরবরাহে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, সার বীজসহ কৃষি উৎপাদনে কৃষকদের সকল সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। কোন প্রকারের অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। কোথাও কোন অনিয়ম হচ্ছে কিনা তা সরেজমিনে নজরদারির জন্যও উপস্থিত সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সভার সভাপতি।
উপস্থিতি উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া বিএডিসির যুগ্মপরিচালক আব্দুর রহমান, অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিভাগ চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাসুর, ডাবল হতো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভিন, জেলা সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীর মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী, জেলা বিএডিসি সার-বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন, সভাপতি নজরুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মাথাভাঙ্গার সম্পাদক প্রকাশক সরদার আল আমিন, প্রথম আলো সাংবাদিক শাহ আলম সানি ও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাওন হাসনাত।