নোয়াখালী ইসকন মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন মন্দির ও পূজা মণ্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ ও পাঁচ দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন-প্রতিবাদ সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার: নোয়াখালী ইসকন মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন মন্দির ও পূজা মণ্ডপে হামলা, হত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও বিগ্রহ ভাংচুরের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। কর্মসূচীতে দোষীদের বিশেষ দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনাসহ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
সোমবার বেলা ১১টায় শহরের শহীদ হাসান চত্বরে ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চুয়াডাঙ্গা শাখা। এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) চুয়াডাঙ্গা শাখার আহ্বায়ক অকুল চৈতন্য দাস অধিকারী, পরিচালক শচী প্রাণধন নিমাই দাস ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চুয়াডাঙ্গা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক প্রশান্ত অধিকারীসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত সপ্তাহজুড়ে নোয়াখালী ইসকন মন্দির, কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মন্দিরের পূজা মণ্ডপ, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে। হত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর থেকে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী এ ধরণের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে ইসকন মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভক্তদের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো-১. বিশেষ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে এ সমস্ত সহিংসতার বিচার করতে হবে এবং নির্বিকার স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ২. অনতিবিলম্বে ইসকন মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভক্তদের হত্যাকারীদের জনসম্মুখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ৩. দেশব্যাপী সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় আহত সমস্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীকে সরকারের পক্ষ থেকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ৪. ইসকন মন্দিরসহ অন্যান্য মন্দির ও পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং ক্ষতিগ্রস্থ গৃহ, প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. এদেশে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকা ও নিজ নিজ ধর্ম পালনের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।