স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় এক নারীসহ তিন মাদককারবারিকে কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার তাদের আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদ- দেয়া হয়। এর আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জ ও দর্শনার দক্ষিণ চাঁদপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৪০ গ্রাম গাঁজা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে ৬ মাস করে কারাদ- দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম।
সাজাপ্রাপ্ত তিনজন হলো চুয়াডাঙ্গা হাটকালুগঞ্জের আকুবর মল্লিকের ছেলে মোবারক মল্লিক (৫২), দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আসকারপাড়ার এনামুল হক ওরফে পিংকির স্ত্রী তসলিমা খাতুন (২৫) ও একই এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ মীরের ছেলে পাঞ্জাব মীর (৬০)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের একটি টিম গতকাল সোমবার দিনব্যাপী সদর ও দর্শনা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালান। অভিযানকালে বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা হাটকালুগঞ্জের মোবারক মল্লিককে নিজবাড়ি থেকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০ গ্রাম গাঁজা। সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৬ মাসের কারাদ- ও চারশো টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়। পরে বেলা ১টার দিকে দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামে অভিযান চালায় একই টিম। এ সময় দক্ষিণ চাঁদপুর আস্কারপাড়ার তসলিমা খাতুনকে ১০ গ্রাম গাঁজাসহ নিজবাড়ি থেকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৬ মাসের কারাদ- ও একশ টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে একই এলাকার পাঞ্জাব মীরকে ৩০০ গ্রাম গাঁজাসহ নিজবাড়ি থেকে আটক করা হয়। তাকেও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৬ মাসের কারাদ- ও পাঁচশ টাকা অর্থদ- প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম। গতকালই সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।