মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: নতুন প্রত্যয়ে দেশ গড়ার শপথ নিয়ে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করা হলো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয় স্বাধীনতার লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে যেসব শহিদ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে পৃথিবীর মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’র আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন, সেসব বীর সেনানীকে বিনম্রচিত্তে স্মরণ করেছে জাতি। গতকাল বুধবার ছিল ৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবস। এটি গৌরবময় জাতীয় দিবসও। দিনটি উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ। ভোর থেকেই দলে দলে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহিদবেদি। এ সময় অনেকের পরনে ছিল লাল-সবুজের পোশাক। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে দুপুরে মসজিদে দোয়া ও সুবিধামতো সময়ে মন্দিরে ও গীর্জায় দোয়া করা হয়। এছাড়া হাসপাতাল, জেলখানা ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী, মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শহিদ স্মৃতিসৌধে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়। গতকাল বুধবার সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বড় বাজারে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অস্ত্রধারী বাহিনীর কুচকাওয়াজ ও মার্চপাস, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, আলোচনাসভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিানের আয়োজন করা হয়। সকাল ৭টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের চৌরাস্তা মোড়ের শহীদ হাসান চত্বরে শহিদ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। এছাড়া জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পর্যায়ক্রমে জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি,আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, জেলার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশিত জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। এ সময় সঙ্গে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মাওলা বিপিএম সেবা। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের শ্বেত কবুতর অপুক্তকরণ, বেলুন ও ফেস্টুন উড্ডায়নের মাধ্যমে এ দিবসের আনুষ্ঠানিকতায় নতুন মাত্রা যোগ করে। এরপর প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশের আর আই খন্দকার রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ও ৪জন প্যারেড পাইলটের চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্যারেড পরিদর্শন করেন। প্যারেড পরিদর্শন শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ভাষণ দেন। এরপর মাঠে আগত সকল দলের সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মাওলা বিপিএম সেবা। পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে এবং সংযমকে প্রাধান্য দিয়ে এ বছর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকে ডিসপ্লে প্রদর্শন থেকে বিরত রেখে শুধুমাত্র কুচকাওয়াজ ও মার্চপাস করার অনুমতি দেন। কুচকাওয়াজ ও মার্চ পাসে অংশগ্রহণকারী অস্ত্রধারী বাহিনীগুলো হলো বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী চুয়াডাঙ্গা ইউনিট, আনসার ভিডিপি, জেল কন্টিজেন্ট, বিএনসিসি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, বিএনসিসি ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বিএনসিসি, এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স। এছাড়া এ বছর জেলা শহরের স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার সুসজ্জিত ৩২টি দল কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে। চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ ও মার্চ পাসে ধারা বিবরণী প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুন্সী আবু সাইফ, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক নুসরাত জাহান করবী, জেলা জাসাসের সভাপতি শহিদুল হক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক সেলিম উল হাবিব সেলিম। এছাড়া কুচকাওয়াজ ও মার্চপাস পরিচালনায় সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন ইসলাম রকিব, ফিরোজ উদ্দিন, আব্দুল হাই, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ফজলুল হক মালিক লোটন, দিলরুবা খুকু, বিলকিস জাহান, আইরিন ইসলাম, জামাল উদ্দিন, সোহেল আহমেদ মালিক সুজন ও খাজের আলী। কুচকাওয়াজ পরিচালকদেরকে লাল সবুজ রঙের টি-শার্ট উপহার দিয়ে পরিচালনার কাজে গতিসংসার করেছেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি। সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপিসহ অংগসঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৮টায় জেলা বিএনপির দলের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে শহীদ হাসান চত্বরে শহিদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। সকল কর্মসূচি পালন করার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সফিকুল ইসলাম পিটু, খালিদ মাহমুদ মিল্টন, পৌর বিএনপির সভাপতি মো সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক মো সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা আইনজীবী ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ দলের নেতা আবেছউদ্দিন প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা পৌর জামায়াতের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও ইফতার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে শান্তিপাড়ায় আল হেলাল স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌর জামায়াতে আমির অ্যাড. হাসিবুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক কামাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের ইউনিট সদস্য মাওলানা লোকমান হোসাইন, আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর জামায়াতের নায়েবে আমির মাহবুব আশিক শফি ও আনোয়ার হোসেন। সেক্রেটারি মোস্তফা কামাল সহকারী সেক্রেটারি ইমরান হোসেন ও হুমায়ুন কবীর, পৌর কর্ম পরিষদ সদস্য মতিয়ার রহমান, আবু জায়েদ আনসারি ও হাফেজ ইকবাল হুসাইন সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলবৃন্দ। আলোচনা শেষে চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন, বড়বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ইফতার বিতরণ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাজান খাঁন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তৌফিক এলাহী, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দীন আহম্মেদ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রোকন জোর্দ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন, কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল ইকবাল, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আনিস, জেলা ছাত্রদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সৌরভ আরেফিন শাওন, সহযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শুকর আলী, জেলা ছাত্রদলের সদস্য মাসুদ রানা শুভ, সহসমাজসেবা আব্দুল লতিফ, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন আলী, শাহীন আলী, রিয়াদ, স্বপন, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ লস্কর, জাহিদ হাসান, সালাউদ্দিন সজল, পারভেজ, সাদিক, মাহফুজ প্রমুখ।
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টার সময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ডিঙ্গেদহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আব্দুল হাই, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. ইলিয়াস হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন রুবেল, সাংগাঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, শঙ্করচন্দ্র ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন, সহকারী শিক্ষক ব্বুর হোসেন। দোয়া পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক লোকমান হোসেন। এদিকে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আব্দুস ছাত্তার, হেলাল উদ্দিন, হোসেন আলী প্রমুখ।
অপরদিকে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে র্যালি শেষে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্প মাল্য অর্পন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিসোর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, পাস,র নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস হোসেন, গ্রামীণ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান লিপু, ওয়ার্পের নির্বাহী পরিচালক আবেদ উদ দৌলা টিটন, আলাপের নির্বাহী পরিচালক আশফাকুর রহমান লিন্টু। এছাড়াও এডাব চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এডাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, রিসোর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, পাস’র নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস হোসেন, গ্রামীন সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান লিপু, প্রত্যাশার সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় প্রত্যুষে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচীর শুভ সূচনা করা হয়। সকাল ৭টায় শহিদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে ফাতেহা পাঠ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলামী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল ৮ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম ও আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান। সকাল ৮ বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, সিভিল ডিফেন্স, স্কাউট (আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা একাডেমি, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জেএন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশ গ্রহনে কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। কুচকাওয়াজে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আলমডাঙ্গা থানার পিএসআই আলমগীর কবীর। পরে দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুরূপভাবে, আলমডাঙ্গা থানা প্রশাসন দিনটি উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করেন। সকাল ৭টায় আলমডাঙ্গার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান ও পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আজগর আলী ও অপারেশন বিকাশ চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে¡ শহিদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে ফাতেহা পাঠ করা হয়। বেলা সাড়ে ১০টায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে উপজেলা মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে, আলমডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকেও পৃথকভাবে দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ৮টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আয়োজন মালায় অংশগ্রহণ করেন পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। এদিকে, আলমডাঙ্গায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দার ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন এবং পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টুর নেতৃত্বে বিশাল র্যালি নিয়ে শহিদ মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ শেষে দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দার। পরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক হাজী মকবুল হোসেন, পৌর বিএনপির সহসাধারন সম্পাদক আসিফ আল নূর তানিম, মহাবুল হক মাস্টার, মকলেছুর রহমান মিলন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি সেকেন্দার আলী, আইয়ুব আলী, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর সাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জল, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম বাবু, পৌর যুবদলের আহবায়ক নাজিম উদ্দিন মোল্লা, সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন আলম কনক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এমদাদ হোসেন, সদস্য সচিব রাজিব আহমেদ রাজু, পৌর কৃষকদলের আহবায়ক মামুন, সদস্য সচিব প্রিন্স, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কামরুজ্জামান হিমেল, সদস্য সচিব জাকারিয়া ইসলাম শান্ত, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আতিক হাসনাত রিংকু, সদস্য সচিব মাহমুদুল হক তন্ময় প্রমুখ। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখা দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। দিনটি উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কামনা করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সংগঠক কামরুল হাসান কাজল, উপজেলা শাখার আহবায়ক রাকিব মাহমুদ, সদস্য সচিব আরাফত রহমানসহ সকল সদস্যবৃন্দ। আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ, আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এরশাদপুর একাডেমি, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ভিডিপি, ওজোপাডিকো, পল্লি বিদ্যুৎ, সখি ফ্লিম ও সুষ্টি মাল্টিমিডিয়া পৃথক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় যথাযথ মর্যাদার সাথে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। জাতীয়, দলীয়, সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলনসহ শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। দামুড়হুদা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাতের নেতৃত্বে সকালে র্যালি বের করা হয়। কেরুজ শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী, সহসম্পাদক খায়রুল ইসলাম যুদ্ধ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আজিবর রহমান, নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরজ আলী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কুড়–লগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবু, বিএনপি নেতা আসলাম আলী প্রমুখ। দর্শনা পৌর বিএনপির পক্ষে সকাল ১০টার দিকে দর্শনা পুরাতন বাজার রেলগেটে থেকে বের করা হয় র্যালি। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেরুজ শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক আলহাজ মশিউর রহমান, মুহিদুল ইসলাম, মাহবুব উল ইসলাম খোকন, নাসির উদ্দীন খেদু, রেজাউল ইসলাম, লুৎফর রহমান, দর্শনা থানা যুবদলের আহবায়ক জালাল উদ্দীন লিটন, যুগ্মআহ্বায়ক, সরোয়ার হোসেন হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান মোহন, মোর্শেদুর রহমান লিংকন, যুবদলনেতা ওসমান, রশিদ, দর্শনা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জালাল উদ্দীন, যুগ্মআহবায়ক জাহান আলী, আব্দুস সাত্তার, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, যুগ্মআহ্বায়ক সাইদুর রহমান, আব্দুল মুকিত, সাব্বির রহমান, আরাপ খান মামুন, ছাত্রদল নেতা ফয়সাল, নাঈম, আরিফ হোসেন, সাইফ, আবিদ. সজীব, দর্শনা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ, সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক মোফাজ্জেল হোসেন মুফা, রাজু আহমেদ, ছাত্রনেতা আব্দুল হাই, ফারুক হোসেন, রাকিবুল, ফরহাদ, সুমন, দর্শনা থানা ছাত্রদলের যুগ্মআহবায়ক শাহেদ ইসলাম সুজন, কৃষক দলের নেতা নাইনুর রহমান সবুজ, দর্শনা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল মান্নান মাস্টার, নবীন দলের সদস্য সচিব ডাবলু মিয়া, যুবনেতা পলাশ, রকি, শহিদ, লাভলু, কলম, মিঠু, ফিরোজ, জনি, ফরহাদ, মুকুল, লাবলু প্রমুখ।
দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, সমন্বয় কমিটির সদস্য সাংবাদিক শরীফ উদ্দীন ও নাহারুল ইসলাম মাস্টারের নেতৃত্বে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে র্যালি সহকারে শহিদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, দর্শনা থানা কৃষক দলের সভাপতি বিপ্লব, জেলা কৃষক দল নেতা সোহরাব হোসেন, হাতেম আলী বিএনপি নেতা আজিজুল ইসলাম, বাবলু, আমজাদ হোসেন, নাজিম উদ্দিন, দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন, নাসির উদ্দিন হাসু, রাসেদ সজীব, দর্শনা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাশেদ, ছাত্রদলনেতা সামাউল জাকির হোসেন, শোয়েব, আমিন, রিফাত, নিশান, লিখন, আসিম, আনোয়ার হোসেন, লিটন, ইসরাফিল, জুয়েল, বিএনপিনেতা সোলায়মান বাদশা, রমিজ উদ্দিন প্রমুখ।
এদিকে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই শহীদ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণ করেছেন দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক এনামুল হক শাহ মুকুল, সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন, আব্দুল মালেক ম-ল, বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম, সাবেক পৌর কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মুকুল, মজিরব রহমান, আব্দুল জলিল, নাসির উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম, সোনা মিয়া, আলমগীর, কুটি, রিপন, দর্শনা থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক টুটুল শাহ, দর্শনা পৌর যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক অপু সুলতান, দর্শনা পৌর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল, যুবদলনেতা রুহিন, মৎস্যজীবী দলনেতা শরীফ উদ্দিন, শহিন হোসেন, শাহিন আলম, স্বেচ্ছাসেবলনেতা সানোয়ার হোসেন, মোতালেব আলী, ছমির শাহ, আওলাদ হোসেন, দর্শনা থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রিয়েল ইসলাম লিয়ন, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল মামুন। যুবদল নেতা সাহাবুল, খলিল, চঞ্চল, ইউসুফ, স্বপন, রোকন, ছাত্রদলদলনেতা আসিফ ইকবাল, হাসান, সালাউদ্দিন, নাফিজ ইকবাল, মানিক, রুপম, লিয়ন প্রমুখ। এ ছাড়া কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ জাতীয় পতাকা উত্তোলন সহ শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছে। উপস্থিত ছিলেন, চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুছ ছাত্তার, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ওমর ফারুক গালিব, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূইয়া, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) সুমন সাহা, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, পরিবহন বিভাগের (প্রকৌশলী) আবু সাঈদ, উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আলআমিন, ডিজিএম (সম্প্রসারণ) মাহবুবুর রহমান, কেরুজ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম প্রমুখ। এছাড়া কেরুজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান। মুক্তিযুদ্ধ পতাকা উত্তোলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের খবির উদ্দিন, বাবুল আক্তার, আরিফুল ইসলাম আরুক প্রমুখ।
এ দিকে কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনগুলোর মধ্যে ফিরোজ আহমেদ সবুজ, তৈয়ব আলী, মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, হাফিজুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন নফর ও মোস্তাফিজুর রহমান সংগঠনে পৃথক পৃথকভাবে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে। সাংগঠনিক কার্যালয়গুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বুধবার সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়। সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা উত্তোলন, এরপর সকাল পৌনে ৮টায় নাটুদহ আটকবর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল সাড়ে ৯টায় দামুড়হুদা স্টেডিয়াম মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অভিবাদন গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন (বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রদর্শনী), বেলা ১১টায় উপজেলা অডিটোরিয়াম হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভা, হাসপাতালে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়, বাদ জোহর জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে উপজেলার সকল মসজিদ ও উপাসনালয় গুলোতে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয় এবং সর্বশেষ সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনাসভা, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি মো হুমায়ুন কবির, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা তানজির আহাম্মেদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার নিপা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নীলিমা আক্তার, আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, সমাজ সেবা অফিসার তোফাজ্জেল হক প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রসিদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন দামুড়হুদা মডেল মসজিদের ঈমাম মো. মামুনুর রশীদ।
হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা, দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান ধুনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাশির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোয়েব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মারফত আলী, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউল হুদা, হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মতিউল হুদা, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তুহিবুল হুদা তুহিন, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডাইরেক্টর সাংবাদিক মুর্শিদ কলিন, বাজার কমিটির সভাপতি এনামুল হক শিলু, সাধারণ সম্পাদক জান মহাম্মদ, সহসভাপতি আহাদ আলী, যুবদল নেতা সেলিম রেজা, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুজ্জামান লাকি, হাটবোয়ালিয়া জামে মসজিদের ইমাম মাহফুজ আহমেদ প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আজমতুল হুদা। অপরদিকে জাতীয় বীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মেজর বজলুল হুদার বাড়ি বাংলাদেশ হাউজে এলাকাবাসীদের উপস্থিততে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মেজর বজলুল হুদার ছোট ভাই ডিউক হুদা।
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হেলালজ্জামান, আইসিটি বিষয়ক কর্মকর্তা দিপু, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য রিপন মাহামুদ, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মতিউর রহমান, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য নাজমুল হুসাইন, মহিলা সদস্য মরিয়ম খাতুন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলমডাঙ্গা উপজেলা যুগ্মআহববায়ক, জেলা সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক আসিফ হুদা, সহ-সভাপতি মাহফুজ আনাম, ভাংবাড়ীয়া ইউপি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য জিবরান আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আসাবুল, কাজল, জিহাদ, ফারুক, জুয়েল প্রমুখ।
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে কাস্টমমোড়ে দলীয় কার্যলয়ের সামনে জাতীয় সংগীত এর সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল মামুন এরশাদ, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শামসুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম টুটুল, উপজেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মতিন খসরু, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক আব্দুল কাদের, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান, সহসভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজুল, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু তালেব, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল মমিন, সদস্য সচিব খায়রুল ইসলাম, যুবদল নেতা দেলোয়ার, কবির, মো. শামীম, মো. আসাদ, তরিকুল, ডালিম, তারিকুল, মো. শিলন, কৃষকদল নেতা আবুল হাসেম, আহসান খান প্রমুখ।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমীন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। উপজেলা প্রশাসনের দিনব্যাপি কর্মসূচিতে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। এ সময় সকল সরকারি ও বে-সরকারি ভবন সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল সাড়ে ৮টায় জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ইউএনও মো. আল-আমীন ও ওসি মামুন হোসেন বিশ^াস জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ প্যারেড গ্রাউন্ডে সালাম গ্রহণ, প্যারেড পরিদর্শন ও শে^ত কপোত উড়ান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করেন। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ, মুক্তিযোদ্ধাগণ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস অংশ গ্রহণ করে। শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আকলিমা প্রি-ক্যাডেট স্কুল, প্রাইড প্রি-ক্যাডেট স্কুল শরীরচর্চ্চা প্রদর্শনীতে অংশ গ্রহণ করে। বেলা ১১টায় মাধবখালীর নো-ম্যান্স ল্যা-ে অবস্থিত ৬শহীদের কবরে ফাতেহা পাঠসহ পুষ্পার্ঘ অর্পণ, বেলা ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনও মো. আল-আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান ও বদর উদ্দিন। হাসপাতাল ও এতিম খানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জীবননগর উপজেলা শাখার আয়োজনে গতকাল বিকাল ৪ টার সময় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামী জীবননগর উপজেলা আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সেক্রেটারি সাখাওয়াত হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, পৌর আমীর মাওলানা ফিরোজ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর হাফেজ বেলাল হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পৌর যুব বিভাগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুরেও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনটি সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্প মাল্য অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ৯টায় মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ জাতীয় সঙ্গীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ভিডিপি, জেল পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিএনসিসি, রোভার, স্কাউট, গার্ল গাইডসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলে-মেয়েরা মনোজ্ঞ কুচজাওয়াজ প্রদর্শন করে। জেলা প্রশাসক সিফাত মেহননাজ প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি তিনি জেলা বাসির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি শান্তির প্রতীক পায়রা এবং বেলুন ওড়ান। মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ক গ্রুপে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রথম। সরকারি কলেজ বিএনসিসি দ্বিতীয়। মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বি এম কলেজ তৃতীয় এবং খ গ্রুপে জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ প্রথম। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলদে পাখি দ্বিতীয় এবং উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় পুরস্কার লাভ করে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার মাকসুদ আখতার খানম, সিভিল সার্জন ডা. একেএম আবু সাঈদ, মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নজরুল কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল, ইসলাম তাজওয়ার আকরাম সাকাপী ইবনে সাজ্জাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদিম হোসেন শামীম, সাজেদুল ইসলাম, আবির হোসেন, তানজিনা শারমিন দৃষ্টি, জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী, জেলা ক্রিড়া অফিসার আরিফ আহমেদ, জেলা কমান্ডেন্ট আনসার ও ভিডিপি কামরুজ্জামান, টিটিসির অধ্যক্ষ আরিফ হোসেন তালুকদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক সিরাজুম মুনির, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোফাজ্জল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে মহান স্বাধীনতা জাতীয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর পৌরসভার উদ্যোগে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলোকে বর্ণিত পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। দুপুরে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এবং হাসপাতাল,এতিমখানা ও জেলখানার আসামিদের মধ্যে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
এদিকে, মেহেরপুর জেলা বিএনপি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসান, যুগ্মআহ্বায়ক যুগ্মআহবায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর খান সাতু, আনছারুল হক, খাইরুল বাশার, হাফিজুর রহমান হাপি, ওমর ফারুক লিটন, রোমানা আহমেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক কাজী মিজান মেনন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুল হক লাভলু, জেলা যুবদলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হুজাইফা ডিক্লায়ার সদর উপজেলার যুবদলের আহবায়ক লিয়াকত আলী, সদর উপজেলার যুবদলের যুগ্মআহবায়ক সাইদুর রহমান, জেলা যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহবায়ক রাকিবুল ইসলাম সজল, ইলিয়াস হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব,আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
এছাড়া মেহেরপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে আলোচনা সভা কুরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মূনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. তরিকুল ইসলাম।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধনীর মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়েছে। ৬টা ৪মিনেটে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পূষ্পমাল্য অর্পণ করেনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে নির্বাহী অফিসার পলাশ ম-ল। এরপর মুজিবনগর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযুদ্ধা আলহাজ আহসান আলী খান, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক আমিরুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান, উপজেলা অফিসার্স কাব, সরকারি টেকনিকেলস্কুল এন্ড কলেজ, মুজিবনগর আদর্শ মহিলা কলেজ, মুজিবনগর সরকারি শিশু পরিবার, ট্যুরিস্ট পুলিশ মেহেরপুর, মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিস, পল্লী বিদ্যৎ মুজিবনগর, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের পক্ষে সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা জাসাসের পক্ষে সভাপতি ও সঙ্গীত শিল্লী হেলাল উদ্দীন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল। মুজিবনগর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান। পরে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার ও ভিডিপি, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, কাব গালস্ গাইড। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। ১১টায় বীর মুক্তিযুদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপত্বি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ ম-ল।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.