নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে
চুয়াডাঙ্গায় স্কুলে স্কুলে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বিতরণকালে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা
স্টার রিপোর্টার: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে ও জানাতে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বিতরণ করছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল দুপুরে ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে স্কুল) উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর লেখা তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এছাড়া তারা দেবী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও আলমডাংগা উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পুরো আগস্ট মাসজুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে ও জানাতে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বিতরণ করা হচ্ছে এবং এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভিক্টোরিয়া জুবিলি উচ্চবিদ্যালয়ের হলরুমে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি সব শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ সেখ শফিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই বিতরণ, আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তারা দেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম লিটন, পরিমল কুমার পাল, শহিদুল ইসলাম, ইমরান খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পবিত্র কুমার আগরওয়ালা, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ায়েচ কুরুনি টিটু প্রমুখ। তারা দেবী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির শিপলু পরিচালনায় এ সময় অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বই ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের সৌজন্য-এ উপহার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে নিয়ে তার মেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে রাখার জন্য উপহার হিসেবে দেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
এ বিষয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমাদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। নতুন প্রজন্মকে যদি সঠিক ইতিহাস না জানাতে পারি তাহলে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে তার দায়ভার আমার উপরেও আসবে। সেই দায়িত্ববোধ থেকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বঙ্গবন্ধুকে জানাতে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বিতরণ করছি। দিলীপ কুমার বলেন, এখন থেকেই সন্তানদের শেখাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কাকে বলে। কোমলমতি বাচ্চাদের শেখাতে হবে, অসাম্প্রদায়িকতা কাকে বলে। তাদেরকে শেখাতে হবে, বঙ্গবন্ধু একটা প্রতিষ্ঠান ছিল। তার জীবনালেখ্য পড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা ঊনিশ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও কীভাবে অদম্য গতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেটাও এ প্রজন্মকে জানাতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানলে দেশের সঠিক ইতিহাস জানা হবে। তিনি এ দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আমাদের দেশ নিরাপদ। শেখ হাসিনা শিক্ষার মান উন্নয়নে নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তাই জাতির পিতা সম্পর্কে জানতে ও জানাতে আমি এবং তারা দেবী ফাউন্ডেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা ও প্রতি স্কুলের কুইজ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করছি। আমার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত করেছি তারা দেবী ফাউন্ডেশন। আর এই ফাউন্ডেশন থেকে নানা সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কারণ আমি চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গাকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। আমি চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর ও তার সগ্রামী জীবনের ইতিহাস জানাতে কাজ করছি। যাতে করে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেদের জীবন পরিচালিত করতে পারে।