দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ভস্মীভূত চায়ের দোকান : অভিযোগের তীর একটি পরিবারের দিকে 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামের মানিকতলা নামক স্থানে একটি চায়ের দোকানে  রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনের লেলিহান শিখায় নগদ টাকাসহ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি আমির হামজা বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তীর গ্রামের একটি পরিবারের প্রতি।

উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে আমির হামজা (২৫) জনান, তিনি গ্রামের মানিকতলা নামক স্থানে দীর্ঘদিন ধরে চায়ের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। দোকানে চা-বিক্রির পাশাপাশি মুদি ও মনোহরী মালামাল বিক্রি করা হয়ে থাকে। দোকানি আমির হামজা বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান রাত একটার দিকে পথচারীরা দেখতে পায় তার দোকানে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে জীবননগর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে করলেও রক্ষা করা যায়নি দোকান ও দোকানে থাকা  মালামাল।

তিনি ধারণা করেছেন তার দোকানে দুর্বৃতরা আগুন লাগিয়ে এ ক্ষতিসাধন করেছে। এ ঘটনায় তার নগদ টাকাসহ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখায় আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। ব্যবসা চালু করার মত তার আর কোন পুঁজি নেই বলে জানান হামজা।

তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে একই গ্রামের গোলাম রহমানের ছেলে আমিনুর রহমান এবং তার তিন ছেলে লিমন, রাজা, বাদশা আমাকে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। ঘটনার দুইদিন আগে তারা আমাকে বলে তুই আওয়ামী লীগ করিস, তুই দোকান খুলতে পারবি না। আর দোকান খুললে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেব। তারপরও আমি জীবিকার তাগিদে দোকান খুলে ব্যবসা করতে থাকি। এ হুমকির দুইদিন পরে আমার দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল।

জীবননগর থানার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পরিদর্শক  বলেন, দোকানঘরটি  সম্পুর্ণরূপে পুড়ে গিয়ে নগদ টাকাসহ সমস্ত মালামাল ভস্মীভুত হয়েছে। আমরা ১০ থেকে ১৫ মিনিট প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার বিকেলের দিকে আমির হামজা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে জীবননগর থানায় একটি অভিযোগ প্রদান করে। তদন্ত পূর্বক দোসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.