দালাল সাঈদকে ধরে পুলিশে দিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাসের কারাদণ্ড

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালালির অভিযোগে রাশেদুল ইসলাম সাঈদকে (৪০) ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া। রাশেদুল ইসলাম সাঈদ চুয়াডাঙ্গা শহরের ঈদগাপাড়ার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। এর আগে গত বুধবার বিকেলে সদর হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেয়ার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তাকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আলাদতকে জানানো হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় রাশেদুল ইসলাম সাঈদকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা: আতাউর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, হাসপাতালে মাত্রারিক্ত দালালের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। গত সোমবার বিকেলে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখতে পাই, জরুরি বিভাগে রোগীদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন সাঈদ। সাথে সাথে পুলিশকে জানালে সাঈদকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। শুধু সাঈদ নয়, হাসপাতালে এক নারীসহ বেশ কয়েকজনকে দালাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। তাদের হাসপাতালে দেখামাত্রই পুলিশকে জানানো হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শামীম ভূইয়া দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালাল নির্মূলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন একাত্মতা ঘোষণা করেছে। রোগীদের নির্বিঘেœ সেবা নিতে পারে এ জন্য এই হাসপাতালে দালাল মুক্তকরণে আমরা বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাশেদুল ইসলাম সাঈদ নামের এক দালালকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাঈদকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More