মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে মানব চোরাচালানের সময় গত এক বছরে ভারতীয় নাগরিক, বুলগেরিয়ান নাগরিক, সীমান্তের দালালসহ বিজিবির হাতে আটক ১৮৭২ জনকে মহেশপুর থানার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে মানবপাচার আইনে একাধিক মামলা হয়েছে।
৫৮ বিজিবির ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, আটককৃতদের মধ্যে ২২ জন ভারতীয় নাগরিক, একজন বুলগেরিয়ান নাগরিক এবং মানব চোরাচালানে সহায়তাকারী দালাল চক্রের সদস্য রয়েছে ৭২ জন। বাকী আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ রয়েছে ৯৩৬ জন, নারী রয়েছে ৬২৫ জন এবং তাদের সাথে থাকা শিশু রয়েছে ২১৬ জন।
মহেশপুর থানা সূত্রে জানা যায়, অত্র থানায় এ বিষয়ে মানবপাচার আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। সীমান্তের এ সকল অবৈধ পারাপারকে ধূর পাচার বলে। বিজিবি আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করলে ব্রিটিশ আমলের ১১ ও ৪ ধারায় মামলা রঞ্জু করে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে।
মহেশপুর উপজেলায় বড় ধরণের একটি মানব চোরাচালানের সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। যার কারণে সারা বাংলাদেশ থেকে নারী পুরুষ এই সীমান্ত দিয়ে পারাপার হয়। দালালরা আটক হলেও তারা আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে বেরিয়ে এসে একই কাজে লিপ্ত হয়। বিগত ২০২১ সালে করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষ ভীতির মধ্যে থাকলেও দালালরা ছিলো অপ্রতিরোধ্য। মানবপাচার নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সীমান্তে দালালদের হাতে নারীরা নানা ধরণের নির্যাতনের শিকার হয়। অনেক ক্ষেত্রে নারীরা পাচারের শিকার হলেও চিহিৃত না হওয়ায় তারা আসামি হিসেবে আদালতে চালান যায়।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী-পুরুষ আটক হলেও মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে ৩-৪টি।
৫৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল শাহীন আজাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি অবৈধ পারাপার রুখতে সবসময় টহল জোরদার রেখেছে। দালাল চক্র আটক হলেও আদালত থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় একই কাজ করছে। এই চক্রকে দমন করতে বিজিবি সর্বদা সক্রিয় রয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ