দাম বাড়িয়েও ধান ক্রয়ে ব্যর্থ আলমডাঙ্গা খাদ্য গুদাম

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় সরকারিভাবে আমন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২৪৭ মে. টন। সরকারিভাবে গত ৫ নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু হয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে ধান সংগ্রহ অভিযান। সরকার আমন মৌসুমে প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করেছিল ৩৩ টাকা। কিন্তু ধান পায়নি গুদামগুলো। গত বছরও ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিল আলমডাঙ্গা খাদ্য গুদাম। সংগ্রহের শেষ দিন পর্যন্ত আলমডাঙ্গার খাদ্যগুদামে ৭৯ মে.টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। এসময় ৫২৩ মে. টন সিদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ৪৭ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে প্রায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হয়েছে। অটোমিলসহ মোট ১৮টি মিল চুক্তিবদ্ধ হয় খাদ্য বিভাগের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সিদ্ধ চালের সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমন সংগ্রহের সরকারিভাবে ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, স্থানীয় বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে ধান বেচাকেনা হয়েছে। এছাড়াও খাদ্য উপজেলা সদরে হওয়ায় ধান পরিবহনে কৃষকের ব্যয় বাড়ে। শ্রম ও সময়ও বেশি লাগে। এজন্য কৃষক বাড়ি থেকে আশপাশের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করেছেন। এতে পরিবহন ব্যয়, শ্রম ও সময় কম লাগছে। এসব কারণে কৃষক খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করতে আগ্রহী হননি। তবে চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকরা চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করেছেন।
জামজামির কৃষক রেজাউল করিম বলেন, সরকারি খাদ্য গুদাম অনেক দূরে। এ ছাড়া ধান বিক্রি করতে প্রচ- ঝামেলা হয়। পরিবহন খরচ আছে। সময়ও বেশি লাগে। ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে হয়। বাড়ি থেকে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কোনো খরচও নেই। সময়ও কম লাগে। এজন্য সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে তার আগ্রহ নেই। সবচে’ বাইরে বিক্রি করলে লাভও বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলমডাঙ্গা উপজেলার এক মিলের স্বত্বাধিকারী বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় প্রতি কেজি চাল উৎপাদনে ৫০ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। এরপরও প্রথম দিকে লোকসান দিয়ে কিছু চাল খাদ্য বিভাগে সরবরাহ করছেন মিলাররা। এতে আর্থিকভাবে লোকসান হয়েছে তাদের। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল আলিম বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করতে হিমসিম খেতে হয়েছে। তবে শেষাবধি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। তবে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৭৯ মে.টন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ মাত্র।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More